গর্ভাবস্থায় মায়েরা যে সব খাবার খেলে সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় মায়েরা যে সব খাবার খেলে সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয় বিস্তারিত জেনে নিন-

                              গর্ভাবস্থায় মায়েরা যে সব খাবার  খেলে সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়


গর্ভাবস্থা বা গর্ভধারণ জেস্টেশন নামে পরিচিত। জেস্টেশন হলো এমন একটি সময় যখন কোনো নারী নিজের শরীরে একাধিক সন্তান অর্থাৎ একাধিক জীবন বৃদ্ধিলাভ করে। গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে শেষ মাস পর্যন্ত টানা ৯ মাস একটি নারীর জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। মা হওয়ার অনুভুতিটা একটি মেয়ের জীবনে অসাধারণ মুহূর্ত নিয়ে আসে। গর্ভাবস্থায় খুবই সাবধানের সাথে চলাফেরা করতে হবে। বাচ্চা বৃদ্ধির জন্য ভালো খারাপ সব দিক বেচে খাওয়া দাওয়া করতে হবে
ডাক্তার পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা মতে, গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস থেকে সপ্তম মাস সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।এই সময় মায়ের ক্যালোরি বদলে যায় আয়রন,পলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কেননা এই সকল খাবারে বাচ্চার মেধা ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি পাবে।  

আরো জানুন:

গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি?

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি না ?

ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ?এটি কি কারণে হয় ?ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় 

জরায়ুর ক্যান্সার কি ? এর লক্ষণ কি কি ?


গর্ভধারণ কি? What is Pregnancy? 

ডিম্বাণু ও শুক্রাণু মিলনকে সাধারনত গর্ভধারণ বলা হয়। এই ডিম্বাণুর সাধারণত দুই মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের থলি থেকে ডিম্ববাহী নালিতে আসে। এই সময় যদি যৌন মিলন হয় তাহলে শুক্রাণু যৌনিপথ দিয়ে ডিম্ববাহী নালিতে গিয়ে পৌঁছে। সেখানে ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হবার পর ফলে ভ্রুণ তৈরি হয়। এটাই গর্ভধারণ বলে পরিচিত।এই ভ্রণ কয়েকদিন পর জরায়ুতে এসে পৌঁছে এবং সেখানে বড় হয়ে জরায়ুতে পরিণত হয়।এই সময় গর্ভাবস্থা মায়েদের ঝুকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।


গর্ভধারণের লক্ষনগুলো কি কি?

বিবাহিত মেয়েরা সাধারণত পিরিয়ড মিস হলে গর্ভধারণের লক্ষণ বলে মনে করে। এটা স্বাভাবিক ভাবে একটি ধরনের ভুল ধারণা। পিরিয়ড মিস হওয়া গর্ভধারণের লক্ষন নাও হতে পারে। পিরিয়ড ছাড়াও নানান রকম শরীরবৃওিয় নানান সমস্যা হতে পারে। সাধারণত পিরিয়ড তারিখ মিস হয়ে ১ মাস অতিবাহিত হলে ৪-৬ সপ্তাহ পর বমি শুরু হলে গর্ভধারণের প্রথম লক্ষন দেখা দিতে পারে। নিচে গর্ভধারণের লক্ষনগুলো সাধারণভাবে দেখানো হলোঃ-

১. ঘন ঘন গা ঘোলানো বমি হওয়া।

২. মাথা ঘোড়ানো। 

৩. স্তনে ব্যথা, ফুলে যাওয়া ও ভারী হওয়া।

৪.ঘন ঘন মূএ ত্যাগ করা।

৫.প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাব বেশি থাকে।

৬.শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকা।

৭.শরীরের দুর্বলতা বেশি দেখা দিতে পারে।

৮.খাবারে অনীহা,গন্ধ লাগা।

৯.মুড সুয়িং। 

১০.রক্তচাপ নেমে যাওয়া। 

এই সকল লক্ষন হলো সাধারণত গর্ভধারণের লক্ষন। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনি গর্ভধারণ করেছেন।

আরো জানুন:

অনিয়মিত মাসিক হলে কি বাচ্চা নেওয়া যায়? করণীয় কি?

ত্বকের উজ্বলতা বাড়াবেন কিভাবে?

শিশুর পেটের গ্যাস কমাতে যা করণীয়

গর্ভাবস্থায় মায়েদের করণীয় কি?

গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সবচেয়ে অধিক জরুরি বিষয় হলো গর্ভবতী মায়েদের যত্ন। তাদের খাবারের প্রতি অধিক নজর রাখা। এই অবস্থায় পুষ্টিসম্পূর্ণ খাবার বেশি করে খেতে হবে। গর্ভকালীন সময়ের প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। এই সময়ে মাকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের করণীয় কাজগুলো নিচে বুঝানো হলোঃ-

১. গর্ভাবস্থায় ভারী কোনো কাজ করা যাবে না।

২. গর্ভবতী মায়েদের সব সময় পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

৩.সব সময় হাসি-খুশি থাকতে।কোনো প্রকার চিন্তা করা যাবে না। এতে বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। 

৪.এই অবস্থায় খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।

৫.আরামদায়ক ও ঢিলে ঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে। 

৬.বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। 

৭.ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ খাওয়া যাবে না।

৮. স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পানি পান করতে হবে। 

৯.ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধ সম্পূর্ণ টিকা দিতে হবে।

১০.এই সময় নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। হাত পায়ের নখ কেটে পরিস্কার রাখতে হবে।


গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের জন্য দরকার অতিরিক্ত যত্নের ও ভালোবাসার। 


গর্ভাবস্থায় শিশুর মেধা বিকাশের জন্য মায়ের খাদ্য তালিকাঃ

গর্ভাবস্থায় মায়েরা যে সব খাবার  খেলে সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়



গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মা ও সন্তানের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। ডাক্তার পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকার পরামর্শ অনুযায়ী, গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস থেকে সপ্তম মাস  আয়রন,ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কেননা এই জাতীয় খাবার গর্ভবতী মা বেশি খেলে বাচ্চার মেধা ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি পাবে। 

 ডিম :ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা বাচ্চার মেধা বিকাশে সহায়তা করে। অনেক মায়েরা আছে যারা গর্ভকালীন খাওয়া দাওয়া করতে পারে না। তারা ডিমকে বিভিন্ন আইটেমে বানিয়ে খেতে পারে।  এই অব্স্থায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ।এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। দৈনিক খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো অবশ্যই রাখতে হবে। বাচ্চার মেধা বিকাশের জন্যে এই খাবারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

দুধ :ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দুধ । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন -A,ভিটামিন -D এবং প্রোটিন যা গর্ভের শিশুর শারীরিক গঠন ও মেধা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।

বাদাম : সব মায়েরা খাবার বেশি খেতে পারে না তারা অনায়াসে বিভিন্ন বাদাম কিসমিস খেতে পারে। ফলমূল এই অবস্থায় সব সময় খেতে হবে এতে বাচ্চার পুষ্টিরমান বৃদ্ধি পাবে।

গরুর মাংস : গরুর মাংস বাচ্চার পুষ্টমান ও মেধা বিকাশে অধিক সহায়ক। গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। তবে পরিমান মত খেতে হবে ।এক্ষেত্রে, সাপ্তাহিক খাদ্য তালিকায় ২-৩ দিন গরু মাংস রাখা যেতে পারে। এতেও বাচ্চার মেধা বিকাশে অধিক সহায়তা পাওয়া যাবে। 

 মিষ্টি কুমড়া :মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ গর্ভের বাচ্চার ব্রেনের জন্যে অনেক উপকারি। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া ও বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। সুতরাং গর্ভকালীন সময়ে ফ্যাট জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

মাছ : শিশু ও মায়ের সমান পুষ্টি পূরণের জন্য সবচেয়ে অধিক ও কার্যকারি প্রোটিন যুক্ত খাবার হলো মাছ। যা শিশু ও মায়ের দুই জনের সমান পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।

 বিভিন্ন রঙিন ফলমূলও শাকসবজি :বিভিন্ন রঙিন ফলমূল ও শাকসবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে। শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক আ্যাসিড। যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের যথাযথ বিকাশের জন্য  গুরুত্বপূর্ণ  এবং এটি মেরুদণ্ডের  কোষে বিকশিত হয়ে থাকে। ফলমূল শিশুর বিকাশে খুবই সহায়ক। ফলে র‍য়েছে বিভিন্ন খনিজ, ভিটামিন যা গর্ভজাত শিশুর বিকাশের জন্য কার্যকরী খাদ্য

যে কোন দম্পতি ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য গর্ভকালীন সময়টি খুবই উদ্বেগজনক ও আনন্দদায়ক। এই সময় মা ও অনাগত সন্তানের উভয়েরই অনেক যত্নের প্রয়োজন। সারা বিশ্বে বর্তমানে কোভিড-১৯ ভীতি বিরাজমান।এমন পরিবেশে গর্ভবতী মা ও তার সন্তানের যত্ন নেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।


গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা, ব্যায়াম ও বিশ্রামের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত থাকা খুবই জরুরি। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা বজায় রাখলে সেটি শুধু যে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে তা নয়। পাশাপাশি মানসিক দিক দিয়েও প্রফুল্লতা আনবে। গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা জীবনের অন্য সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে।

 গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাদ্য তালিকাঃ প্রতিটি শিশুর জন্যে মা হচ্ছে একটি বট বৃক্ষের ন্যায় আশ্রয়স্থল। একজন মায়ের কাছে সন্তান নিজেকে নিরাপদ মনে করে। মায়ের স্নেহ ভালোবাসায় শিশুটি পৃথিবীতে বেড়ে ওঠে।  

মা যখন সন্তান গর্ভে ধারণ করে তখন মায়ের শরীরের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। মায়ের যত্নের পাশাপাশি বাচ্চার যত্ন সহকারে বেড়ে ওঠা এবং বাচ্চার পুষ্টির দিক বিবেচনায় রাখতে হবে। এই সময় খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। কি খেলে বাচ্চা স্বাস্থ্য ভালো হবে, কি খেলে বাচ্চা পুষ্টিমান ঠিক থাকবে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা বেশি চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মায়ের জন্যে ক্ষতিকর তেমনি পুষ্টিহীনতা বাচ্চার জন্যে ক্ষতিকর। তাই এই অবস্থায় গর্ভবতী  মায়ের খাবারে প্রতি অধিক নজর দিতে হবে। 

আরো জানুন:

গর্ভাবস্থায় হাত পা ফুলে গেলে বা পানি জমলে কি করবেন ?

 গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায়  খাবার নিয়ে অন্যান্য সময়ের চেয়েও বেশি সচেতন থাকতে হয়। কারন মায়ের খাবার থেকেই শিশু পুষ্টি পায়। গর্ভাবস্থায় ঝুকিপূর্ণ খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। নিচে তা জানানো হলোঃ-

১. অপাস্তুরিত দুধ বা কাচা দুধ খাওয়া যাবে না। কাচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই দুধ ভালো করে না ফুটিয়ে খাওয়া যাবে না।

২. গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপদজনক। এতে গর্ভপাতের মত বিপদজনক ঘটনা ঘটতে পারে।

৩. চা কফি ইত্যাদি খুবই কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি চা, কফি খেলে শিশু কম ওজনের জন্ম গ্রহণ করে। প্রতিদিন ২০০ গ্রামের বেশি চা কফি খাওয়া যাবে না।

৪. আধা সিদ্ধ সাকসবজি খাওয়া যাবে না। এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

৫.সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত সামুদ্রিক মাছ খাওয়া গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের জন্যে ক্ষতিকর। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।

৬. মাছ, মাংস ভালো করে সিদ্ধ করে খাওয়া। আধা সিদ্ধ মাংস তে ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই মাছ, মাংস ভালো করে সিদ্ধ করে খেতে হবে।

৭. কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা গর্ভবতী মা ও শিশু দুইজনের জন্যেই ক্ষতিকর।


গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়া জরুরী কেন?

একটি শিশু যখন একজন মায়ের গর্ভ আসে তখন মায়ের মনে এক অন্যরকম আনন্দ উপলব্ধি হয়। মা হচ্ছে সন্তানের ছায়া। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসায় কোন কারণ থাকে না।থাকে না কোন সাধ্য।পৃথিবতে একমাত্র মাই সার্থ্য ছাড়া ভালোবাসে। মায়ের ভালোবাসার কোনো তুলনা হয় না। মা নিজে না খেয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয় সন্তান জেনো ভালো ভাবে বাঁচতে পারে। 

একটি সন্তান গর্ভে আসলে তাকে নিয়ে মায়ের এবং তার আসে পাশের সবার একটা কৌতূহল সৃষ্টি হয়।  কখন সে পৃথিবীতে আসবে। একটি সন্তান পরিবারে আনন্দ নিয়ে আসে। তাই গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ের সমান যত্ন নিতে হবে। কি খেলে সন্তান বড় হবে, কি খেলে সন্তান বৃদ্ধি পাবে, কি খেলে সন্তানের মেধা বিকশিত হবে, কি খেলে সন্তান সম্পূর্ণ পুষ্টি পাবে সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। 

গর্ভবতী মাকে কোনো রকম চিন্তা দেওয়া যাবে না। গর্ভবতী মা জেনো সব সময় হাসি খুশি থাকে সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে সবাইকে। চিন্তা মা ও শিশু উভয়ের জন্যে অনেক ক্ষতিকর। 

পৃথিবীতে এমন একটা লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, সে চায় না তার আগত বাচ্চা সুস্থ সবল না হোক। সকল মায়েরাই চায় তার বাচ্চাটা সুস্থ সবল ভাবে পৃথিবীতে আসুক। তাই বাচ্চা গর্ভে আসার পর থেকেই গর্ভবতী মাকে সতর্ক এবং সাবধানে চলাফেরা খাওয়া দাওয়া করা উচিৎ। 

কি খেলে সন্তান সুস্থ থাকবে, কি খেলে সন্তানের ক্ষতি হবে, সে সব দিক নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। গর্ভবতী মায়ের মধ্যে এক অন্যরকম উতেজনা সৃষ্টি হয়। গর্ভাবস্থায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে সবসময় এতে শিশু মা উভয়ের স্বাস্থের জন্য উপকারী হবে। 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খেতে হবে। ঝুকিপূর্ণ সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতী মা ও শিশু জেনো সুস্থ ও ভালো থাকে হাসি--খুশি থাকে সে দিকে নজর দেয়া সকালের দায়িত্ব। সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে। খুব সাবধানে ও চিন্তামুক্ত হয়ে এই সময় পার করতে হয়। একজন সুস্থ সবল সন্তান সকলেই প্রত্যাশা।



Post a Comment

Previous Next