উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (Upazila Health
Complex) এর কাজ সম্পর্কে আপনি
কি জানেন ? কিভাবে এর থেকে স্বাস্থ্য
সেবা নিবেন ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিন –
বাংলাদেশের
এই বিশাল জনসংখ্যার এক বড় অংশ
গ্রামে বসবাস করে। গ্রামের স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ার কারণে
এখানকার বেশির ভাগ মানুষ জন
যখন অসুখ বিসুখ বা
বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন তারা
অভিজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে ঠিক মত চিকিৎসা
সেবা পান না। এ
জন্য গ্রামের মানুষ কথা চিন্তা করে
সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনলায় উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায়
পৌছে দেওয়ার লক্ষে প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলা পর্যায়ে একটি করে উপজেলা
স্বাস্থ্য সংস্থা বা Upazila Health Complex স্থাপন করেছেন। এতে করে পল্লীর
মানুষ জনের বিনা চিকিৎসায়
ভুগার কষ্ট একটু হলে
ও লাঘব হয়েছে। উপজেলা
স্বাস্থ্য সংস্থার যাবতীয় কর্মকান্ড ও সেবা নেওয়ার
পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজ্ঞাত
আছি। তাই অনেক সময়
আমাদেরকে চিকিৎসা
কেন্দ্রে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের
জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। সে
জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা সম্পর্কে
আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা খুবই দরকার।
এখন
চলুন আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স সংক্রান্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেই,
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা Upazila Health Complex আসলে কি ?
উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা Upazila Health Complex হল বাংলাদেশের গ্রামের
মানুষের জন্য উপজেলা পর্যায়ে
সরকারী স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার একটি
মাধ্যম। এক কথায় উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বলতে উপজেলা স্বাস্থ্য
ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকেই ধরা হয়।
৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা পর্যায়ে একটি হাসপাতালে ৯
জন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট
উপজেলা হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসক
পদ রয়েছে, এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ
পদ (গাইনী, সার্জারী, ইএনটি এবং মেডিসিন) ৪টি
রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ( Upazila Health Complex) এর কাজ কি ?
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কর্মসূচি গুলো বাস্তবায়নে কাজ করে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
রোগ
নিরাময় বা চিকিৎসা সেবা
দেয়া :
এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগত রোগীদেরকে বহি:বিভাগ, অন্ত:বিভাগ এবং জরুরি বিভাগ - এই ৩ বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
রোগ নিয়ন্ত্রণ বা রোগ প্রতিরোধ :
Upazila Health Complex গুলো
রোগ নিয়ন্ত্রণ বা রোগ প্রতিরোধের
উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে থাকে।
এই সব কেন্দ্রের পরিচালিত
কাজ গুলোর মধ্যে প্রধান হল সম্প্রসারিত টিকাদান
কর্মসূচি বা Expanded program on
Immunization বা সংক্ষেপে EPI program। এই program এর
মাধ্যমে ৯ মাস থেকে
শুরু করে ৫৯ মাসের
সকল শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি, অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ত রোধের
জন্য বিনামূল্যে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো
হয়। এছাড়া ও গ্রামীণ জনগণের
অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ভালো থাকার জন্য
নিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা
প্রদান করা হয়।
Season change এর
সময় বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমক রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এরূপ সকল সংক্রামক
রোগ যেমন: ডাইরিয়া, যক্ষ্মা, এইডস, এ আর আই,
সোয়াইন ফুল, বার্ড ফুল
কালাজ্বর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বতন্ত্র নীতিমালা
প্রণয়ন করা হয়। আর
এই নীতিমালা অনুসরণ করে সারা বছর
নির্দিষ্ট এবং স্বতন্ত্র কার্যাদি
সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য একটি হল ম্যালেরিয়া
রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্যে জনগণকে কীটনাশকে চুবানো মশারী দেয়া হয়। এর ফলে
মশারিটি জীবাণু মুক্ত থাকে এবং এই
মশারি টানিয়ে ঘুমালে ম্যালেরিয়া রোগের সংক্রমণের হার আগের তুলনায়
অনেক কম থাকে।
নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করা :
মাঠ
পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা
করার লক্ষ্যে সকল গর্ভবতী নারীকে
নিবন্ধন করিয়ে নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব
নিশ্চিত করা হয়। এরপর
প্রসব পর্যন্ত সকল গর্ভবর্তী নারীকে
নিয়মিত চেক আপ করানো
হয় এবং কোন মাতৃঝুঁকি
আছে কি না সে
সম্পর্কে যাচাই করা হয়।
গর্ভবতী মায়েদের অবস্থা অনুযায়ী গ্রাম পর্যায়ে CSBA কর্তৃক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তার বা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কর্তৃক প্রসবের ব্যাবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। যে সকল গর্ভবতী মায়েদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে তাদেরকে বিশেষ করে যে সকল হাসপাতালে EOC বা জরুরী প্রসূতি সেবা চালু আছে সে সকল উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আর সকল প্রসূতি মায়েদেরকে প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। এতে করে তাদের গর্ভের সন্তানের ভিটামিন-এ জনিত অসুখে ভুগার ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে অনেক কম থাকে।এছাড়াও
হাসপাতালের ওয়ার্ডে আগত রোগীদেরকে খাদ্যের গুনগত মান বজায় রেখে খাবার দেয়া থাকে। আর এর পাশাপাশি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, পরিষ্কার-পরিছন্নতা, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আইনি বিধান ও প্রয়োগ করে থাকে।
Upazila Health Complex এর স্বাস্থ্য সেবা গুলো কি এবং কিভাবে এর থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন ?
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা নেওয়ার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
Upazila Health Complex এ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কে ৩ টি বিভাগে ভাগ করে তারপর সেখানে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। বিভাগ ৩ টি হল -
১. বর্হিঃবিভাগ
২. আন্তঃবিভাগ
৩. জরুরি বিভাগ
বহি:বিভাগের চিকিৎসা সেবা সমুহ :
বহি: বিভাগ শুধুমাত্র ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮:৩০ হতে দুপুর ২:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। এই বিভাগে আগত রোগীদের সিচুয়েশন অনুযায়ী তাদেরকে কোন প্রকার ডাক্তারের ফি ছাড়াই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং সেই সাথে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। উক্ত সময়ের মধ্যে যে কোন সময় আপনি হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।
অন্ত:বিভাগে চিকিৎসা সেবা সমূহ :
আপনার
অবস্থা যদি বেশি খারাপ
হয় তাহলে ঐ স্থানের স্বাস্থ্য
কর্মীরা আপনাকে বহি: বিভাগ থেকে
অন্ত:বিভাগে ট্রান্সফার করে দিবেন। সেখানে
আপনাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
যে সব রোগীদের অবস্থা
কঠিন ও জটিল থাকে
তাদেরকে হাসপাতালের অন্ত:বিভাগে ভর্তি
করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করার পাশাপাশি তাকে
বিনামূল্যে ঔষধ ও পথ্য
সরবরাহ করা হয়। এছাড়া
ও এই বিভাগে ডেলিভারী
সহ বিভিন্ন প্রকার মাইনর অপারেশন করা হয়ে থাকে।
নার্স বা সেবিকার তত্ত্বাবধানে
পরিষ্কার-পরিছন্ন ওয়ার্ডে বা অন্তঃবিভাগে রোগীদেরকে
চিকিৎসা সেবা প্রদান করা
হয়। এর পাশাপাশি তিন
বেলা পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা ও রয়েছে।
জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা সমূহ :
জরুরী
বিভাগ সব সময়ই খোলা
রাখা হয়। আপনি যদি কোন
ধরনের দূর্ঘটনায় যেমন: পানিতে ডোবা, কুকুরের কামড়, রোড এক্সিডেন্ট,আগুনে
পোড়া প্রভৃতিতে গুরুতর
আহত হন তাহলে এই
বিভাগে আপনাকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করা হবে এবং
এর সাথে প্রয়োজনীয় ঔষধ
ও সরবরাহ করা হবে। আর
এই চিকিৎসায় যদি কাজ না
হয় তাহলে ঐ স্থানের কর্তব্যরত
চিকিৎসকরা উন্নততর চিকিৎসার জন্য আপনাকে মেডিকেল
কলেজ হাসপাতাল বা জেলা সদর
হাসপাতালে রেফার করে দিতে পারে।
তাছাড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরা সরকারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রোগীদের প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।
টিকাদান
কর্মসূচীর মাধ্যমে ০ থেকে ১১
মাসের শিশুদের ডিফথেরিয়া, পোলিও, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, যক্ষা, হাম, জন্ডিস বা
হেপাটাইটিস বি, হিব নিউমোনিয়া
এই মারাত্মক ৮টি রোগের প্রতিষেধক
টিকা প্রদান করা হয় শিশুদেরকে উল্লেখিত
রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা
হয়। আর নবজাতকের ধনুষ্টংকার
প্রতিরোধ করার জন্য সকল
১৫ থেকে ৪৯ বছর
বয়সের নারীদেরকে ধনুষ্টংকার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়।
এছাড়াও
রয়েছে,
প্যাথলজি
বিভাগ :
এই বিভাগে জটিল রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য কোন ফি ছাড়াই প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা আছে।আপনার শরীরে কোন জটিল রোগ আছে কি না সেটা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করা হয়
প্রয়োজনে পড়ুন:
Piles বা অর্শ কি? কি কারণে পাইলস হয় এবং সারানোর উপায় ?
এক্স-রে বিভাগ :
আপনার
হাত-পা বা শরীরের
অন্য কোন জায়গায় পড়ে
গিয়ে আঘাত পেলে সেই
জায়গা ভেঙ্গেছে কি না তা
নিশ্চিত হওয়ার জন্য এক্স-রে
বিভাগে গিয়ে এক্স-রে
করাতে পারেন।
স্বাস্থ্য
শিক্ষা বিভাগ :
উপজেলা
হেলথ কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের প্রয়োজনীয়
স্বাস্থ্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা আছে।আপনি যদি
চিকিৎসার স্বার্থে এখানে আসেন তাহলে প্রয়োজনে
আপনাকে Multimedia এর মাধ্যমে বিভিন্ন
স্বাস্থ্য শিক্ষামূলক তথ্য প্রদর্শন করাতে
পারে।
এ্যাম্বুলেন্স
:
আপনার
অবস্থা যদি গুরুতর বা
মুমূর্ষ থাকে তাহলে উন্নত
চিকিৎসার জন্য সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত ভাড়ায় সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে জেলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে আপনাকে রেফার করা হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা Upazila Health Complex এর ত্রুটি গুলো কি কি ?
উপজেলা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা দেওয়ার রুটি
গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো :
চিকিৎসকের সংকট :
বাংলাদেশের বেশির ভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই চিকিৎসক সংকটে ভুগছে। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ৯ থেকে ২১ জন চিকিৎসকের থাকা দরকার। কিন্তু খোঁজ নিলে দেখা যায় সেখানে এক বা দুই জন ডাক্তার নিয়ে কোন রকমে চিকিৎসা সেবা চালু রাখা আছে। দুঃখের বিষয় হল, কখনও কখনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই এক-দুই জন ডাক্তারকে ও অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
সরঞ্জামাদিতে যথাযথ নজরদারির অভাব :
আমাদের দেশের অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার সরঞ্জামাদি যথাযথ নজরদারির অভাবে অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারা এই সব জিনিসপত্রকে কোনো কাজেই লাগাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছ, দেশের বেশির ভাগ স্বাস্হ্য কেন্দ্রের এক্সরে মেশিন, অপারেশন থিয়েটার, সার্জারি মেশিন গুলো ব্যবহার না করার কারণে নষ্ট হইয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের অপেশাদার আচারণ :
উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের অব্যবস্থাপনা নিয়ে এলাকাবাসী কথা তুললে অনেক
সময় তাদেরকে অপেশাদার আচারণের মুখে পড়তে হয়
।
অপরিছন্ন
পরিবেশ :
যথেষ্ট
জনবল না থাকার কারণে
বেশির ভাগ হাসপাতালেরই কেবিন,
বাথরুম গুলো অপরিষ্কার অবস্থায়
থাকে।এই অপরিছন্ন পরিবেশে রোগীরা মানসিক ভাবে আরও বেশি
অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অবশেষে আমরা বলতে পারি যে,
বাংলাদেশের
জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি অনুযায়ী, সবার
জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও জরুরি চিকিৎসা
সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ
করা হয়েছে। আর এই লক্ষ্য
বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য
সেবা কেন্দ্র ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। কারণ
প্রাথমিক অবস্থায় যদি একজন রোগীকে
চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়
তাহলে যে কোন রোগের
জটিল আকার ধারণ করার
আগেই রোগ নিরাময় করা
সম্ভব হবে। আর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে গ্রামের খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠী
বিনা মূল্যে বা কম খরচে
স্বাস্থ্যসেবা পান। এক কথায়,
আমাদের গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা Upazila Health Complex এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সে জন্য বাংলাদেশের সরকারের
উচিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চাহিদা গুলো চিহ্নিত করে
সে গুলোর উন্নয়নের জন্য শীঘ্রই কার্যকরী
পদক্ষেপ গ্রহণ করা।