আপনার জরায়ুর মুখে ক্যান্সার ( Cervical cancer)হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? এর লক্ষণগুলো কি ?

বর্তমান সময় বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষ জরায়ুমুখ ক্যান্সারের( Cervical cancer)সাথে বেশ পরিচিত। ধীরে ধীরে সমস্ত বিশ্বজুড়ে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর সমস্ত বিশ্বজুড়ে প্রায় লাখ ৭০ হাজার নারী এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় লাখ ১০ হাজার নারী মারা যান। 

আপনার জরায়ুর মুখে ক্যান্সার  ( Cervical cancer)হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? এর লক্ষণগুলো কি ?


বাংলাদেশেও এই ক্যান্সারের প্রকোপ লক্ষ করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশে যে সমস্ত নারীরা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন তাদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ নারীই এই জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা জরায়ুমুখ ক্যান্সারকে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান ক্যান্সার বলে আখ্যায়িত করেছেন। 

এছাড়াও আপনার যৌনিপথে ইনফেকশন হতে পারে বিভিন্ন কারণে। কি কি কারণে আপনার যৌনাঙ্গ অস্বস্থি বা ইনফেকশন হয় এবং করণীয় কি বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন


 এখানে যা যা থাকছে..........

  • জরায়ুমুখ ক্যান্সার আসলে কী ?
  • জরায়ুর ক্যান্সার সাধারিণত কাদের হয়ে থাকে ?
  • জরায়ুমুখ ক্যান্সার কী কারণে হয়ে থাকে ?
  • আপনি জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না তা কীভাবে বুঝবেন ?
  • জরায়ু মুখের ক্যন্সার প্রতিকারের উপায়গুলো কী কী?
  • কোন ধরনের উপায় অবলম্বন করার ফলে জরায়ু মুখ  ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় ?

জরায়ুমুখ ক্যান্সার (Cervical cancer) আসলে কী ?

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ইংরেজি নাম হল cervical cancer. Cervix হল ছোট  2.5cm লম্বা সরু নালী যেখান থেকে বাচ্চা প্রসব করে তার নিচের অংশটাকে বলা হয় জরায়ু এবং এই জরায়ুর নিচের  অংশটাকে বলা হয় জরায়ু মুখ। এই জরায়ুর মুখেই প্রতিনিয়ত অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে এবং সেই সাথে ক্রমাগত ভাবে এই জরায়ুর মুখ আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে। এই ক্রমাগত আঘাত প্রাপ্ত থেকেই এক সময় জরায়ুর মুখে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

জরায়ুর ক্যান্সার সাধারিণত কাদের হয়ে থাকে ?         

নারীদের জরায়ু মুখ ক্যান্সার হয়ে থাকে। ইউটেরাসের ভিতর বিভিন্ন ধরনের অংশ রয়েছে। এর মধ্যে নিচের দিক থেকে সর্ব প্রথমে রয়েছে জরায়ু মুখ। নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ুর বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ নারীদের ক্ষেত্রেই জরায়ুর মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন নারী জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।

আরও জানতে পারেন : 

ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ?এর লক্ষণ গুলো কি কি ?

ত্বকের উজ্জ্বলতা কিভাবে ধরে রাখবেন ? 

জরায়ু মুখ ক্যান্সারকে কেন নীরব ঘাতক বলে?

জরায়ু মুখ ক্যান্সারকে নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে। এটা বলার অন্যতম কারণ হল এই ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অধিকাংশ নারীই এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন না। অথবা লক্ষণ দেখা দিলেও তারা লক্ষণ গুলোর প্রতি ঠিকমত গুরুত্ব দেন না বরং এড়িয়ে চলে যান। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এজন্য জরায়ু মুখ ক্যান্সারকে নীরব ঘাতক  বলা হয়।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার (Cervical cancer) কী কারণে হয়ে থাকে ?

জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণগুলো নিম্নে আলোচনা করা 

* অল্প বয়সে যে সমস্ত নারীদের বিয়ে হয় তাদের জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

* অল্প বয়সে নারীরা যদি যৌন মিলন বা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

* অল্প বয়সে যে সব নারীরা গর্ভধারণ করেন এবং তাদের যদি ঘন ঘন ডেলিভারি বা প্রেগন্যান্সির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

* যে সব নারীরা বহুগামীতা অথবা একাধিক লোকের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন তাদের ক্ষেত্রেও এই ক্যান্সার দেখা দেয়।

* নারী এবং পুরুষ উভয়ের যদি নিরাপদ যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকে তাহলে নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। 

দীর্ঘদিন ধরে যদি কোন নারী জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রেও জরায়ু মুখ ক্যান্সার দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।

* যে সব নারীরা দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করছেন তাদের  ক্ষেত্রে জরায়ু মুখ ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।

সাধারণত যৌন মিলন এবং অধিক সন্তান প্রসব করার ফলে জরায়ুর মুখ ক্রমাগতভাবে আঘাত প্রাপ্ত হতে থাকে। এই আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার কারণে স্থানেহিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ (HPV) নামক একটি ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে এবং এই ভাইরাস যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্থানে অবস্থান করে। তখন এই ভাইরাসটি জরায়ুর মুখের ক্যান্সারে পরিণত হয়ে যায়। 

গবেষণায় দেখা গেছে,  হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ (HPV) এর প্রায় ১০০ টির অধিক প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে দুটি HPV virus - HPV ১৬ এবং HPV ১৮  এর কারণে মূলত জরায়ুর মুখের ক্যান্সার হয়ে থাকে, এমনটা চিকিৎসকরা বলছেন।

তবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দেয় না। চিকিৎসক এবং গবেষকদের মতে, জরায়ু মুখের ক্যান্সারে প্রায় ১৫-২০ বছর সময় লাগে জীবানু প্রবেশের পর ক্যান্সারটি সৃষ্টি হতে। এজন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং করার উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

আপনি জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না তা কীভাবে বুঝবেন?

সাধারণত জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার আগে এবং পরে নিচের লক্ষণ গুলো দেখা দেয়।

* জরায়ুমুখ ক্যান্সার হলে নারীদের যৌনাঙ্গের  চারপাশ দিয়ে চাপ অনুভব হয়  এবং ঘন ঘন প্রসাব হয়ে থাকে এবং প্রসাবের রাস্তায় যন্ত্রণা করতে পারে

* এ সময় অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে।

* সাধারণত জরায়ু মুখ ক্যান্সার হলে রোগীর বার বার বমি হতে থাকে এবং প্রায় সময় বমি বমি ভাব থাকে।

* এ সময় হঠাৎ করে ক্ষুধা কমে যায়। ছাড়াও আপনি যে খাবার ভালবাসেন সেই খাবার খাওয়ার প্রতি অনিচ্ছা প্রকাশ করা।

* প্রায় সময় পেট ফুলা থাকে এবং সময় সাধারণত তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা করতে থাকে।

* জরায়ু মুখ ক্যান্সার হলে শরীরের ওজন অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে অথবা শরীরের ওজন অনেক হ্রাস পেতে পারে।

* এ সময় খাবার অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরেও রোগীর কাছে পেট ভরা মনে হয়ে থাকে এবং পেটের ভিতর অনেক অস্বস্তি অনুভব হয়।

* খাবার ঠিকমত না খাওয়ার ফলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের মত জটিল সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে ধীরে ধীরে জরায়ু ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।

* জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার কারণে শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে বা শরীরে খুব ক্লান্তি অনুভব হয়। 

* কোন নারী যৌনমিলনে অভ্যস্ত থাকার পরেও যদি পুনরায় যৌনমিলনের সময় তার ব্যথা অনুভব হয়। তখন এটিও জরায়ু মুখ ক্যন্সারের একটি অন্যতম লক্ষণ।

* এ সময় দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব বা লালচে স্রাব অথবা দুর্গন্ধযুক্ত বাদামী স্রাব হয়ে থাকে।

* সাধারণত জরায়ু মুখ ক্যন্সার হলে নারীদের মাসিক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না।

উপরিউক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে নারীদেরকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয়ে কোন ধরনের পরীক্ষা করা হয়?

জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয়ে চিকিৎসকরা সাধারণত দুই ধরনের টেস্ট করে থাকেন।

পেপ টেস্ট বা পেপ স্মেয়ার টেস্ট

ভায়া টেস্ট

পেপ টেস্ট বা পেপ স্মেয়ার টেস্ট

পেপ টেস্ট করার সময় জরায়ুর মুখ থেকে রস নেয়া হয়ে থাকে। তারপর এই রস অনুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার, ক্যান্সার হওয়ার আগের অবস্থা ছাড়া জরায়ু মুখের বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায়। সাধারণত পেপ টেস্ট ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত করা যায়। এই টেস্ট প্রতি তিন বছর পর পর একবার করানো উচিত, এমনটি চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভায়া টেস্ট

ভায়া টেস্ট করার সময় প্রায় থেকে শতাংশ অ্যাসিটিক এসিড তরল দিয়ে ভিজিয়ে জরায়ু মুখ সরাসরি দেখা হয়। এর ফলে যদি জরায়ু মুখের রং পরিবর্তন না হয়  তাহলে ভায়া পজিটিভ হয়েছে বলে চিন্হিত করা হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, সব সময় ভায়া টেস্ট পজিটিভ হলেই যে ক্যান্সার হয়েছে এটা ভাবা ঠিক না।

জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয়ে আরও কিছু প্রচলিত পরীক্ষা রয়েছে যেমন,  কল্পোস্কোপি পরীক্ষা, বায়োপসি পরীক্ষা ইত্যাদি।

জরায়ু মুখের ক্যন্সার প্রতিকারের উপায়গুলো কী কী?

সাধারণত জরায়ু মুখ ক্যান্সার হলে চিকিৎসকরা নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে চিকিৎসা করে থাকেন।

সার্জারী

রেডিওথেরাপি

কেমোথেরাপি

ইমিউনোথেরাপি

টরগেটেড থেরাপি

এই ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে সাধারণত চিকিৎসকরা সার্জারীর মাধ্যমে জরায়ু কেটে ফেলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্ত যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে ক্যান্সারের জীবাণু পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রকম হলে সাধারণত কেমোথেরাপি,  রেডিওথেরাপি দিয়ে ডাক্তাররা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

কোন ধরনের উপায় অবলম্বন করার ফলে জরায়ু মুখ  ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়?

বাল্যবিবাহ বন্ধ করা:

১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না। কারণ অপরিণত বয়সে বিয়ে হলে নারীরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপে থাকেন এর ফলে জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ধূমপান এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য ত্যাগ করা :

ধূমপান এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করার ফলে জরায়ু মুখ ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ এতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ক্রমাগত শরীরের ভিতর ঢুকে জরায়ুকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এজন্য ধূমপান এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে হবে এবং ধূমপানীয় ব্যক্তির থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।

পান,জর্দা, সাদা পাতা পরিহার করা :

বেশির ভাগ নারীরাই পান খেয়ে থাকেন। পান খাওয়া শরীরের জন্য ভাল এতে অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত পান খেলে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ নারীরাই পানের সাথে অধিক পরিমাণ জর্দা মিশিয়ে খান যেটা শরীরের জন্য খারাপ, এর ফলে জরায়ু মুখ ক্যান্সার হয়ে থাকে। এজন্য একটা নিদিষ্ট মাত্রায় খেতে হবে অথবা একেবারেই খাওয়া বাদ দিতে হবে।

অনেক সময় নারীরা সাদা পাতা খেয়ে থাকেন এই পাতা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য এসব অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে যাতে পরবর্তীতে কোন রোগ সৃষ্টি হতে না পারে।

পুষ্টির অভাব পূরণ করা :

বেশীরভাগ নারীরাই অপুষ্টি জনিত কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এজন্য অবশ্যই পুষ্টির অভাব পূরণ করতে হবে এবং খাবার তালিকায় সব সময় সুষম খাদ্য রাখতে হবে।

জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন ত্যাগ করা :

দীর্ঘ দিন ধরে যদি জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করা হয় তাহলে জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ বছরের বেশি সময় ধরে খাওয়া যাবে না।

জেনে নিন-

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল( Contraceptive Pill ) খাওয়ার সুবিধা-অসুবিধা গুলো কি কি ?

পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকা :

যৌনমিলনের পর অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকলে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ হয়ে থাকে। এর ফলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হয়ে থাকে।তাই সব সময় নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। 

প্রতিষেধক টিকা নেওয়া :

বর্তমান সময়ে HPV virus এর প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হওয়ার পর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।  এই টিকা সাধারণত -১৩ বছর বয়সের মধ্যে দেয়া হয়। তাই সময় মতো টিকা নিলে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।


জেনে নিন :

এলার্জির(Allergies) হওয়ার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার সম্পর্কে

পরিশেষে বলা যায় যে,

সাধারণত ২০ বছরের আগে এই ক্যান্সার হয় না। এই (Cervical cancer) ক্যান্সারে আক্রান্ত  বেশিরভাগ নারীই প্রায় ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী হয়ে থাকেন। জরায়ু মুখ ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। সময়মতো এই ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ না করলে এই ক্যান্সারের জীবাণু পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এর  ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

Category

#buttons=(Accept!) #days=(7)

We use cookies to improve your browsing experience!
Accept !
Top