জেনে নিন-মেয়েদের অতিরিক্ত সাদা স্রাব( Leucorrhoea) এর কারণ এবং করণীয় কি ?

 সাদা স্রাব কী? কোন ধরনের সাদা স্রাব স্বাভাবিক?  Leucorrhoea কী কারণে হয়ে থাকে? প্রতিরোধ করবেন কি উপায়ে ?



মেয়েদের অতিরিক্ত সাদা স্রাব(  Leucorrhoea) এর কারণ এবং করণীয় কি



নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত এটা হওয়াকে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিকবলে ধারণা করে থাকেন। কিন্তু যদি এর রং, পরিমাণ ও গন্ধে পরিবর্তন দেখা যায়তখন সেটি ভয়ের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। এবং বর্তমান সময়ে নারীদের এই সমস্যাটি বেশি দেখা যাচ্ছে। এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরবর্তীতে এর থেকে অনেক জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত সাদা স্রাব একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর পিরিয়ড চিরতরে বন্ধ বা মেনোপজ চিরতরে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে।

সাদা স্রাব কী?

সাদা স্রাব এর ইংরেজি নাম হল Leucorrhoea.  হল যোনীপথ থেকে নিঃসৃত শ্বেতস্বার জাতীয় ধূসর বর্ণের এক পদার্থ। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘটে থাকে।  যোনী স্রাব দেখতে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন: আঠালো, পাতলা, জেলির ন্যায় পদার্থ। এটি সাধারণত পিরিয়ড শুরুর কিছুদিন আগে থেকে অধিক মাত্রায় হতে থাকে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বন্ধ থাকে এবং পিরিয়ড শেষ হওয়ার কিছু দিন পর আবার শুরু হয়।

আরও পড়ুন :

গর্ভাবস্থায় জ্বালাপোড়া দূর করার উপায়

স্রাব সাদা দেখতে কেমন এবং কোন ধরনের সাদা স্রাব স্বাভাবিক ?

নারীদের সাধারণত দুই ধরনের সাদা স্রাব হয়ে থাকে।

 স্বাভাবিক

 অস্বাভাবিক 

স্বাভাবিক:

স্বাভাবিক সাদা স্রাব বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন:

সাদা রঙের স্রাব:

সাদা রঙের স্রাব স্বাভাবিক। এটি সাধারণত পিরিয়ড শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে অথবা পিরিয়ড শেষ হওয়ার কিছু দিন পরে শুরু হয়। এটি দেখতে পাতলা, চটচটে, দই এর মত।

বাদামী ও রক্তাক্ত বর্ণযুক্ত স্রাব:

চিকিৎসকদের মতে, বাদামী বর্ণের স্রাব ও স্বাভাবিক স্রাব। এটি সাধারণত পিরিয়ড শুরুর সময় এবং পিরিয়ডের শেষের দিকে হয়ে থাকে। এই সময় স্রাবের বর্ণ বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে।

পরিষ্কার এবং পানিযুক্ত স্রাব:

পরিষ্কার এবং পানিযুক্ত স্রাব পুরোপুরি স্বাভাবিক স্রাব এবং এই স্রাব মাসের যে কোন সময় দেখা দিতে পারে।

পরিষ্কার এবং প্রসারিত স্রাব:

পরিষ্কার এবং প্রসারিত স্রাব একদমই স্বাভাবিক স্রাব। এই স্রাব সাধারণত দেখতে শ্লেষা জাতীয় পদার্থের মত হয়ে থাকে। ডিম্বস্ফোটনের সময় এই ধরনের স্রাব দেখা যায়।

অস্বাভাবিক :

অস্বাভাবিক সাদা স্রাবের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত দুই ধরনের রঙের হয়ে থাকে।

হলুদ বা সবুজ বর্ণের:

অস্বাভাবিক হলুদ বা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে এবং এই স্রাবে প্রচুর দুর্গন্ধ বের হয়। এটি মূলত যৌনমিলনের কারণে হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন ....

জরায়ুর ক্যান্সার  এর  লক্ষণ কি কি ??

ব্রেস্ট ক্যান্সার কি এবং এর লক্ষণ সমূহ কি কি ??

 গর্ভাবস্থায় যে সব খাবার খেলে সন্তান  েমধাবী হয়

সাদা স্রাব কী কারণে হয়ে থাকে?

এ রোগ হওয়ার পেছনে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ


সাদা স্রাব কী কারণে হয়ে থাকে?



অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে:

বেশিরভাগ নারীরাই অসুখ হলে অন্যান্য ওষুধের সাথে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ অধিক পরিমাণে খেয়ে থাকেন। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেলে এটি শরীরের ভিতর ঢুকে হরমোনের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে যোনী স্রাব  হয়ে থাকে।

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়া:

যোনীপথে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে এটি হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। নারীদের যোনীপথ নিয়মিত পরিষ্কার – পরিছন্ন না রাখলে, পুষ্টিহীনতায় ভুগলে এবং প্রসাবের পর যোনীপথ ঠিকমত না ধুলে যোনীপথে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়। এ সময় যোনীপথ দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত  স্রাব নিঃসৃত হতে থাকে।

জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়া:

বর্তমানে বেশির ভাগ নারীই অপ্রত্যাশিত প্রেগন্যান্সিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই প্রেগন্যান্সি রোধ করার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের গর্ভনিরোধক ওষুধ বা জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খেয়ে থাকেন। নিয়মিত এই পিল খেলে ধীরে ধীরে হরমোনের কার্যক্ষমতা লোপ পায়। এর ফলে শরীর অনেক ভেঙ্গে পড়ে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে ও যোনীপথ দিয়ে  স্রাব বের হয়ে থাকে।

জেনে নিন-

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল( Contraceptive Pill ) খাওয়ার সুবিধা-অসুবিধা গুলো কি কি ?

পেটের সমস্যা কেন হয় ? হজমের সমস্যা দূর করার উপায় 

যোনীপথে সাবান ব্যবহার করলে:

যোনী পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার জন্য অধিকাংশ নারীরাই যোনীপথে সাবান ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু যোনীপথে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সাবানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে যেগুলো যোনীপথে ব্যাবহারের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে ও লিউকোরিয়া বের হতে পারে।

গনোরিয়া রোগ দেখা দিলে:

এই রোগ সাধারণত নিরাপদ যৌন সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের কারণে হয়ে থাকে। এই রোগটি যৌন মিলনে অসচেতনতার কারণে হয়ে থাকে। এই রোগের জীবাণু পুরুষের কাছ থেকে ও আসতে পারে। নারীরা যৌন মিলনের পরে যৌনাঙ্গ নিয়মিত পরিষ্কার-পরিছন্ন না রাখলে এই রোগ হয়ে থাকে। গনোরিয়া রোগের কারণে যোনীপথ দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব নিঃসৃত হতে পারে।

অতিরিক্ত ডায়েটিং:

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ নারীরাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়েটিং করে থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত ডায়েটিং শরীরের জন্য ভাল নয়। এতে শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে যায়, নারীরা পুষ্টিহীনতায় ও ভুগে থাকেন। এর ফলে ও সাদা স্রাব বের হতে পারে।

সাদা স্রাব হওয়ার লক্ষণ গুলো কী কী?

Leucorrhoea অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক হয়ে থাকে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে যোনীপথ দিয়ে শ্বেতকণিকা নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ ও গন্ধে তারতম্য দেখা দিতে পারে। Leucorrhoea বা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হওয়ার লক্ষণগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:

মানসিক অবসাদ:

মানসিক অবসাদ বা অতিরিক্ত টেনশনে থাকার নারীদের শরীরে ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে সাদা স্রাব নিঃসৃত হতে পারে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুমের অভাব:

নারীদেরিএটি হওয়ার অন্যতম কারণ হল ঠিকমত বিশ্রাম ও ঘুম না পড়া। এর ফলে শরীরের ওপর চাপ পড়ে। এ জন্য অতিরিক্ত সাদা স্রাব হতে থাকে।

প্রচন্ড পেটে ব্যাথা করা:

লিউকোরিয়া হলে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। তলপেট জুড়ে এই ব্যাথা করতে থাকে। এ সময় প্রচুর পরিমাণে  Leucorrhoea নিঃসৃত হতে থাকে। সাধারণত পিরিয়ড হওয়ার কিছু দিন আগে থেকে এই ব্যাথা করতে থাকে।

ভিন্ন ধরনের  স্রাব নিঃসৃত হওয়া

স্বাভাবিক স্রাব সাধারণত দই এর মত পাতলা, চটচটে, সাদা আঠালো জেলির ন্যায় পদার্থের মত হয়ে থাকে। কিন্তু স্রাব যদি শক্ত, পুরু, খুব বেশি আঠলোযুক্ত এবং তার সাথে প্রচুর দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

ঘন ঘন প্রসাব হওয়া

সাদা স্রাব হলে সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রসাব এর সমস্যা দেখা দেয়। প্রসাব অনেক সময় হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে এবং প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করতে পারে।

শরীর দূর্বল অনুভব হওয়া

সাদা স্রাব হওয়ার কারণে শরীর থেকে শ্বেতকণিকার সাথে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ বের হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা যেমন: পানিশূন্যতা ও পুষ্টিহীনতাজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। এ সময় শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে। অনেক কম কাজ করে ও শরীর দূর্বল থাকার কারণে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া

 Leucorrhoea হলে শরীর দূর্বল থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ বাসা বাঁধে। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা ও বৃদ্ধি পেতে থাকে অর্থাৎ ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

শরীরের ওজন কমে যাওয়া

যোনীপথ দিয়ে অতিরিক্ত স্রাব নিঃসৃত হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খনিজজাতীয় পদার্থ বের হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে শরীরের ওজন অনেক কমে যায়।

যোনীপথ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হওয়া

অতিরিক্ত  স্রাব নিঃসৃত হওয়ার কারণে যোনীপথ দিয়ে প্রচুর দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। স্রাব এর রঙ হলুদ, সবুজ বর্ণের হলে এটি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ সময় ও যোনীপথ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে।

যৌনমিলনের সময় যোনীপথে ব্যাথা

White Vaginal Discharge বা অতিরিক্ত  স্রাবের কারণে যৌনমিলনের সময় যোনীপথে ব্যাথা হতে পারে এবং এর সাথে জ্বালাপোড়াও করতে পারে।

যোনীপথে র‌্যাশ ওঠা

অতিরিক্ত  নিয়মিত সাদা স্রাবের কারণে যোনী সব সময় ভেজা থাকে। এই ভেজা থাকার কারণে যোনীপথে র‌্যাশ বা চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তীকালীন সময় যৌনমিলনের সময়ে যোনীপথ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।

  Leucorrhoea প্রতিরোধ করার ঘরোয়া উপায় 

সাদা স্রাব হলে নারীরা সাধারণত অনেকে ওষুধ খান। কিন্তু ওষুধে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ওষুধের থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই রোগ প্রতিরোধ করা উত্তম বলে চিকিৎসক এবং গবেষকরা মনে করছেন। উপায়গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:

ভাতের মাড় খাওয়া:

 স্রাব প্রতিরোধে ভাতের মাড় অনেক কার্যকরী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে উপকার পেতে পারেন।

আমলকী:

আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং সেই সাথে অনেক কার্যকরী উপাদান ও থাকে। আমলকী খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমলকী সাদা স্রাব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ঢেড়স:

ঢেড়স ৎএটি প্রতিরোধে একটি উপকারী সবজি। তাজা ঢেড়স রান্না করে বা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। ঢেড়স সাদা স্রাবের সমস্যা এবং যোনীতে কোন সমস্যা হলে সেগুলো প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

তুলসী পাতা:

তুলসী পাতা প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর সেটা বাটাতে পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে উপকার পেতে পারেন। তুলসী পাতা অতিরিক্ত স্রাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

নিম পাতা:

এ সমস্যা দূর করার জন্য মানুষ অনেক আগের থেকেই নিম পাতা খেয়ে আসছেন। আর নিম পাতা সাদা স্রাব কমাতে ও অধিক কার্যকরী। নিম পাতার রস খেলে উপকার পেতে পারেন। অথবা সদ্য নিম পাতা পানিতে সেদ্ধ করে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর এই পানি দিয়ে যোনী ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে সংক্রমিত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।


পেয়ারা পাতা:

সাদা স্রাবের সমস্যা দূর করতে পেয়ারা পাতা ও কার্যকরী ওষুধের ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণত সাদা স্রাবের সমস্যা থাকলে যোনীপথে চুলকানি বা র‌্যাশ ওঠে। এ সময় গাছ থেকে কিছু সদ্য পেয়ারা পাতা নিয়ে পানিতে ভালমতো ফুটাতে হবে। ফুটানোর পরে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা হলে এই পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন খেলে যোনীপথে চুলকানির সাথে সাথে ইনফেকশন ও কমে যেতে পারে।

মেথির বীজ:

মেথির বীজ সাদা স্রাবজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এই বীজ ভালো ভাবে পানিতে সেদ্ধ করতে হবে শুকিয়ে যাওয়া ভাব থাকতে থাকতে জ্বাল বন্ধ করে দিতে হবে। এই পানি ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে তারপর এই পানি খেতে হবে।

ধনিয়া বীজ:

ধনীয়া বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে এই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেতে হবে। এর ফলে ও সাদা স্রাবজনিত সমস্যা দূর হতে পারে।

অ্যালোভেরা:

অ্যালোভেরা অতিরিক্ত সাদা স্রাবজনিত সমস্যা, চুলকানি, যোনীতে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে রস বানিয়ে এই রস পান করলে উপকার পেতে পারেন। এছাড়াও সংক্রমিত স্থানে লাগালে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।


নারকেলের তেল:

নারকেলের তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা নিম মিশিয়ে সংক্রমিত স্থানে লাগালে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, সাদা স্রাবের সময় যে ব্যাথা হয় তা থেকে উপশম পাওয়া যায়।

আরও জেনে আসুন 

মেয়েদের কেন অনিয়মিত মাসিক হয় ?অনিয়মিত মাসিক হলে কখন ডাক্টারের কাছে যেতে হবে ?

ত্বকের  উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায় সমূহ 

পরিশেষে বলা যায় যে,

সাদা স্রাব নারীদের জন্য একটি অতিপরিচিত ঘটনা। এটি প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে থাকে। তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনলে বা তারতম্য ঘটলে এই সাদা স্রাব নারীদের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই সাদা স্রাবের রঙে এবং গন্ধে যদি পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে অবশ্যই এই সমস্যা লুকিয়ে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে এর থেকে ভয়ংকর জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

Post a Comment

Previous Next