জেনে নিন- প্রথম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব কি না ?

 প্রথম সিজারের পর কি নরমাল ডেলিভারি সম্ভব ? সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রথম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব কি না ?


প্রতিটি গর্ভবতীমা চান যে তার সন্তান যেন নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম নেয়। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা মায়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থাকার কারণে সাধারণত চিকিৎসকরা সিজার বা অস্ত্রোপাচার করার মাধ্যমে সন্তান প্রসব করায়। 

প্রথম সি-সেকশনের পর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব কিনা বিষয় নিয়ে বেশির ভাগ গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করে। অনেকেই ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বসে থাকেন যে, একবার সিজারের পর পরবর্তী সন্তান সিজার করে হবে। প্রকৃতপক্ষে তা কিন্তু নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সিজারিয়ান ডেলিভারির পর প্রায় ৯০% মায়েরাই পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি করানোর জন্য উপযুক্ত থাকেন। যার মধ্যে প্রায় ৬০-৮০% মায়ের ক্ষেত্রে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি বা ভিবিএসি কোনো সমস্যা ছাড়াই সফল ভাবে সম্ভব হয়েছে। 

তবে ভিবিএসি পদ্ধতি সবার ওপর প্রয়োগ করা উচিত না। যারা স্বাভাবিক প্রসবের জন্য উপযুক্ত শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি অ্যাপ্লাই করা হয়ে থাকে। কিন্তু কাদের ক্ষেত্রে এবং কিভাবে ভিবিএসি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় সে সম্পর্কে অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েরাই জানে না যার জন্য গর্ভাবস্থার সময় সমস্যায় পড়ে যায়। তাই প্রেগন্যান্সির সময় প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত থাকা অত্যন্ত জরুরি।
এখন আসুন প্রথম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি কিভাবে সম্ভব সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই,
 

প্রথম সিজারের পর কখন নরমাল ডেলিভারি সম্ভব ?

প্রথম সি-সেকশনের পর স্বাভাবিক প্রসব করানোর পদ্ধতিকে বলা হয় Vaginal Birth After Cesarean (VBAC) সিজারের পর নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি বা ভিবিএসি ট্রায়াল করার ক্ষেত্রে সাধারণত ডাক্তাররা কয়েকটি বিষয় পর্যালোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
 
 পূর্বের সিজারের সংখ্যা :
নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি শুধুমাত্র আগে যাদের একবার মাত্র সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই করা যাবে অর্থাৎ প্রথম সন্তান সি-সেকশনে হওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার সময়।সেক্ষেত্রে প্রথম সিজারের পর দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার চান্স আছে। তবে এই সিদ্ধান্ত একমাত্র ডাক্তারই নিতে পারবেন।

আগের সিজারের কারণ জানা :
প্রথম প্রেগ্ন্যাসিতে যে কারণে আপনার সি-সেকশন করা হয়েছিল সেই কারণ যদি পরবর্তী অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে না দেখা যায় তাহলে আপনি স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে আপনার ইউটেরাস বা জরায়ুতে যদি বাচ্চার পজিশন ঠিক না থাকে তখন সাধারণত ডাক্তার নরমাল ডেলিভারি করার রিস্ক নিতে চান না। সেক্ষেত্রে সন্তান প্রসব করানোর জন্য আপনার সিজারিয়ান অপারেশনের আশ্রয় গ্রহণ করতে হতে পারে।

সিজারের সেলাইয়ের স্থান মজবুত থাকলে :
আপনার প্রথম সিজারের সেলাইয়ের স্থান বা জরায়ুর নিচের অংশের সেলাই যথেষ্ট পরিমাণ মজবুত থাকে কেবলমাত্র তখনই আপনি ভিবিএসি ট্রয়াল দিতে পারবেন। এজন্য নরমাল ডেলিভারি করার আগে ডাক্তারকে দিয়ে আগের সেলাইয়ের স্থান পর্যবেক্ষণ করিয়ে নিবেন।
এক্ষেত্রে দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

* Low-transverse uretine incision
আপনার প্রথম সি-সেকশনের সময় যদি জরায়ুর নিচের দিকে low transverse uterine incision বা আড়াআড়ি ভাবে কাটা হয় তাহলে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকির সম্ভাবনা কম থাকবে।

* Classical incision বা  T Shape
কিন্তু যদি আপনার ইউটেরাস বা জরায়ুর উপরের দিকে Classical incision (T shape) বা লম্বালম্বি ভাবে কাটা থাকে তাহলে ভিবিএসি করার ক্ষেত্রে আপনার জরায়ুর সেলাই খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
 
দুই গর্ভধারণের মধ্যবর্তী গ্যাপ :
স্বাভাবিক প্রসব করাতে হলে আপনার আগের সেলাইয়ের স্থান মজবুত রাখতে হবে। এজন্য আপনাকে দুই গর্ভধারণের মাঝে যদি দুই বছরের গ্যাপ রাখতে হবে। দুই প্রেগন্যান্সির এই ব্যবধান থাকলে নরমাল ডেলিভারি ক্ষেত্রে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু এই গ্যাপের আগে সন্তান গর্ভে আসলে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি  ট্রায়াল দেয়ার সময় আগের সি-সেকশনের সেলাই ছিড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

প্লাসেন্টা প্রিভিয়া থাকা যাবে না :
আপনার প্রথম সিজার করার সময় যদি প্লাসেন্টা প্রিভিয়া বা জরায়ুর টিউমার থাকে কিংবা সি-সেকশনের পর ইনফেকশন হয় তাহলে আগের সেলাইয়ের স্থানটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং পরে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনার আগের সি-সেকশনের রিপোর্ট অবশ্যই চিকিৎসককে দেখাবেন। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারপর ভিবিএসি ট্রায়াল এর সিদ্ধান্ত নিবেন।

গর্ভাশয়ের মুখ বড় থকলে :
আপনার গর্ভাশয়ের মুখ বা প্রসবের রাস্তা যদি যথেষ্ট পরিমাণ প্রশস্ত থাকে তাহলে ভিবিএসি প্রয়োগ করা যাবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার গর্ভাশয়ের মুখ সে:মি: এর মত বড় থাকে তাহলে আপনি স্বাভাবিক প্রসব করার জন্য উপযুক্ত হতে পারবেন। এর ফলে সহজে বাচ্চা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাশয়ের মুখ সে:মি: বড় হলে প্রায় ৯০ শতাংশ গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেই VBAC প্রয়োগ করা সম্ভব।

গর্ভে শিশুর সংখ্যা :

প্রথম সিজারের পর দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময় আপনার গর্ভে যদি একটি মাত্র সন্তান থাকে কেবলমাত্র তখনই আপনি সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি করতে পারবেন। কিন্তু আপনার গর্ভে বাচ্চার সংখ্যা যদি একের অধিক থাকে যেমন : টুইনস তখন আপনার নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি ট্রায়াল দেয়া একেবারে উচিত নয়। এতে আপনার এবং সন্তান দুজনেরই জীবন ঝুঁকির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
 
বাচ্চার ওজন 4 কেজির কম থাকলে :

মাতৃ গর্ভে থাকাকালীন একজন পরিপূর্ণ বাচ্চার আদর্শ ওজন 4 কেজির কম ধরা হয়ে থাকে গর্ভাবস্থা থাকা কালীন আপনার সন্তানের ওজন এই চার কেজি বা তার কম থাকে তাহলে সহজেই বাচ্চা প্রসবের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনি নরমাল ডেলিভারির আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু কোন কারণে যদি আপনার সন্তানের ওজন চার কেজির বেশি হয়ে যায় তখন আপনার স্বাভাবিক ভাবে প্রসব করানো উচিত হবে না এতে করে আপনার গর্ভে থাকা সন্তান দুজনের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

জটিল রোগ থাকা যাবে না :

প্রথম সিজারের পর দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সি চলা কালীন সময়ে যদি আপনি বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ যেমন : উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিতে ভুগতে থাকেন সেক্ষেত্রে  সাধারণত চিকিৎসক আপনাকে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি ট্রায়াল দিতে নিষেধ করবেন। এজন্য ভিবিএসি ট্রায়াল দেয়ার আগে আপনি একটি Physical Test বা শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নিবেন এতে করে কোন জটিল রোগ থাকলে তাহলে সেটা এই টেস্টে ধরা পড়বে।

স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে :

প্রেগন্যান্সি চলা কালীন আপনার এবং গর্ভে থাকা সন্তান উভয়ের স্বাস্থ্য ঠিক থাকতে হবে অর্থাৎ সময় উভয়ের পুষ্টি মান যদি সঠিক মাত্রায় থাকে তাহলে প্রথম সি-সেকশনের পর আপনার স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার চান্স বেশি থাকে।

প্রথম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয়

প্রথম সিজারিয়ান অপারেশনের পর আপনি যেভাবে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো

চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া :

প্রথম সি-সেকশনের পর যদি আপনি প্রেগন্যান্ট হন এবং দ্বিতীয় সন্তান স্বাভাবিক প্রসব করানোর মাধ্যমে নিতে চান তাহলে বিষয় আপনি অবশ্যই ডাক্তারকে জানাবেন। আপনার আগের সি-সেকশনের রেকর্ড, আগে জরায়ুতে কোন অপারেশন হলে তার রিপোর্ট এবং আপনার সম্পূর্ণ চিকিৎসার রেকর্ড ডাক্তারকে দেখাবেন। এর ফলে আপনি ভিবিএসি ট্রায়াল দিতে পারবেন কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

ভিবিএসি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া :

স্বাভাবিক প্রসব করানোর জন্য আপনার ভিবিএসি সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা প্রয়োজন তাহলে ট্রায়ালের সময় কোন প্রকার অসুবিধা হবে না। তাই নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি প্রয়োগ করার আগে সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে রাখুন।

সি-সেকশনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা :

স্বাভাবিক প্রসব করানোর সময় যদি আপনার কোন প্রকার জটিলতার সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে তখন ডাক্তার সি-সেকশন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। জন্য সব সময় মানসিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন।

দক্ষ চিকিৎসক হাসপাতাল নির্বাচন করা :

নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি ট্রায়াল দেয়ার জন্য আপনাকে একজন দক্ষ প্রসূতি রোগ  বিশেষজ্ঞ নির্বাচন করতে হবে এবং তার দ্বারাই ডেলিভারির কার্যাদি সম্পন্ন করবেন। আর এমন একটি হাসপাতাল নির্বাচন করবেন যেখানে ভিবিএসি সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকবে।

 

প্রথম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারির  সুবিধা  

প্রথম সি-সেকশনের পর পরের বার স্বাভাবিক প্রসব করালে আপনি যে ধরনের সুবিধাগুলো পেতে পারেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

দীর্ঘ দিন হাসপাতালে থাকা লাগে না :

প্রথম সিজারের পর দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রে যদি আপনার স্বাভাবিক প্রসব হয় তাহলে সাধারণত আগের মত বড় ধরনের অস্ত্রোপাচার করা লাগে না। জন্য আপনাকে হাসপাতালে বেশি দিন কাটাতে হয় না এবং শীঘ্রই আপনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।

ব্লাড স্থানান্তরের প্রয়োজন হয় না :

নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারিতে আপনার প্রয়োজন না হলে ব্লাড ট্রান্সফিউশান বা স্থানান্তরের দরকার পড়ে না।

সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে :

স্বাভাবিক প্রসব করার ফলে আপনার কাটা-ছেড়ার প্রয়োজন হয় না এজন্য ইনফেকশন বা সংক্রমণের ঝুঁকি সিজারিয়ান ডেলিভারির তুলনায় অনেক কম থাকে। 

আরো জানুন:
 
পরবর্তী প্রেগন্যান্সির জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া :

সিজারিয়ান ডেলিভারির পর যদি আপনার স্বাভাবিক প্রসব হয় তাহলে এর পরবর্তীতে গর্ভধারণে আপনার জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

প্রাণের ঝুঁকি কম থাকা :

আপনার প্রেগন্যান্সিতে কোন প্রকার অসুবিধা না হলে অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে ভিবিএসি তে প্রাণের ঝুঁকি সিজারিয়ান অপারেশনের তুলনায় অনেক কম থাকবে।
 

প্রথম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারির অসুবিধা 

সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি করালে আপনার নিম্নের অসুবিধাগুলো দেখা দিতে পারে-

গর্ভাশয় ফেটে যাওয়া :

সি-সেকশনের পর স্বাভাবিক প্রসব করালে আপনার গর্ভাশয় ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনার অধিক রক্তপাত হতে পারে এবং এর পাশাপাশি গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

ব্লাড ট্রান্সফিউশান করানো :

ভিবিএসি প্রক্রিয়া যদি আপনার ক্ষেত্রে সফল না হয় তাহলে ব্লাড ট্রান্সফিউশান করাতে হতে পারে।

গর্ভাশয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি :

স্বাভাবিক প্রসব আপনার শরীরে সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার সিজারিয়ান অপারেশনের করাতে হতে পারে। এক্ষেত্রে গর্ভাশয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
 

অবশেষে বলা যায় যে,

গর্ভবতী মা তার গর্ভের শিশুর সুরক্ষা করা শুধু একা মায়ের দায়িত্ব নয়, আমাদের সকলের দায়িত্ব।  তাই প্রসূতি মা তার সন্তানের জন্য যে পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ হবে সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে তার প্রসব করাতে হবে। এজন্য প্রথম সিজারের পর নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির জন্য যদি আপনি উপযুক্ত হন কেবলমাত্র তখনই আপনার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। আর তা না হলে সিজারিয়ান ডেলিভারির আশ্রয় নিতে হবে। তাই সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি করাতে চাইলে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয় গুলো মাথায় রাখবেন এবং আপনার কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে তারপর স্বাভাবিক প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নিবেন।

 

Post a Comment

Previous Next