মুখে ব্রণ হলে করনীয় কি?

 কি কি কারনে ব্রণ হতে পারে

ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে, তবে কিছু প্রধান কারণ হলো:

কি কি কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে
ছবি:মুখে ব্রণ

হরমোন: বয়ঃসন্ধিকালে, হরমোনের পরিবর্তন ত্বকের তেল নিঃসরণ বৃদ্ধি করতে পারে, যা রোমকূপ বন্ধ করে ফেলে এবং ব্রণের দিকে ধাবিত করে।

  জিনগত কারণ: ব্রণের জন্য জিনগত প্রবণতা থাকতে পারে। 

ব্যাকটেরিয়া: Propionibacterium acnes নামক ব্যাকটেরিয়া ব্রণের রোমকূপে বাস করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। 

মৃত ত্বকের কোষ: মৃত ত্বকের কোষ ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে ফেলতে পারে, যার ফলে ব্রণ হতে পারে। 

ত্বকের তেল: অতিরিক্ত ত্বকের তেল রোমকূপ বন্ধ করে ফেলে এবং ব্রণের দিকে ধাবিত করতে পারে। 

স্ট্রেস: স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, যা ত্বকের তেল নিঃসরণ বৃদ্ধি করতে পারে এবং ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।

  খাদ্য: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ-গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার এবং দুগ্ধজাত খাবার ব্রণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

  কিছু ওষুধ: কর্টিকোস্টেরয়েডস এবং লিথিয়াম এর মতো কিছু ওষুধ ব্রণের কারণ হতে পারে।

  ত্বকের যত্নের পণ্য: কমেডিজেনিক ত্বকের যত্নের পণ্য রোমকূপ বন্ধ করে ফেলতে পারে এবং ব্রণের দিকে ধাবিত করতে পারে।

প্রয়োজনে আরো জেনে নিন:

ঘরে বসে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

জরায়ুতে সিস্ট কেন হয় ? জরায়ুতে সিস্ট হলে কি করণীয় ?

মুখে ব্রণ হলে করনীয় 

মুখে ব্রণ হলে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

প্রতিরোধ:

আপনার মুখ নিয়মিত ধোয়া: দিনে দুবার, হালকা, অ-কমেডিজেনিক ক্লেনজার দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন।

ময়লা এবং তেল অপসারণ: আপনার মুখ থেকে ময়লা এবং তেল অপসারণ করতে একটি মৃদু স্ক্রাব বা এক্সফোলিএটর ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখতে একটি অ-কমেডিজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার: আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সাজসজ্জা স্পর্শ করবেন না: আপনার মুখ স্পর্শ করবেন না, কারণ এটি ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে দিতে পারে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

স্ট্রেস কমাতে: স্ট্রেস কমাতে ব্যায়াম বা ধ্যানের মতো কার্যকলাপগুলি অনুশীলন করুন।

মুখে ব্রণ উঠলে যে ভুলগুলো করবেন না:

মুখে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মানুষকে বিরক্ত করে। ব্রণের জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন হরমোন, ব্যাকটেরিয়া, বা ত্বকের তেল। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে, কিছু ভুল এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ যা সমস্যাটি আরও খারাপ করতে পারে।

 

মুখে ব্রণ উঠলে যে ভুলগুলো করবেন না

কিছু ভুল যা এড়িয়ে চলা উচিত:

  • ব্রণ চেপে ফেলা: ব্রণ চেপে ফেললে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আরও ব্রণের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, এটি দাগ এবং ক্ষতের কারণ হতে পারে।
  • মুখ ঘষা: মুখ ঘষা ত্বককে আরও বিরক্ত করতে পারে এবং ব্রণের প্রদাহ বাড়াতে পারে।
  • হarsh সাবান এবং ক্লেনজার ব্যবহার করা: harsh সাবান এবং ক্লেনজার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে এবং ব্রণের সমস্যা আরও খারাপ করতে পারে।
  • মেকআপ ব্যবহার করা: মেকআপ ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে ফেলতে পারে এবং ব্রণের কারণ হতে পারে। যদি মেকআপ ব্যবহার করতে হয়, তাহলে অয়েল-ফ্রি এবং non-comedogenic পণ্য ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং পূর্ণ শস্য খাওয়া উচিত।
  • পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া: পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া ত্বকের স্ট্রেস বাড়াতে পারে এবং ব্রণের কারণ হতে পারে।
  • ধূমপান: ধূমপান ত্বকের ক্ষতি করে এবং ব্রণের সমস্যা আরও খারাপ করতে পারে।
  • স্ট্রেস: স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে যা ব্রণের কারণ হতে পারে।

চিকিৎসা:

ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) চিকিৎসা: বেনজয়েল পেরোক্সাইড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো ওটিসি ব্রণ চিকিৎসা ব্যবহার করুন।

প্রেসক্রিপশন ওষুধ: আপনার ডাক্তার যদি ওটিসি চিকিৎসা কাজ না করে তবে প্রেসক্রিপশন ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা রেটিনয়েডগুলি লিখে দিতে পারেন।

পেশাদার চিকিৎসা: আপনার ব্রণ গুরুতর হলে, আপনার ডাক্তার লেজার চিকিৎসা বা রাসায়নিক ছোলাচালের মতো পেশাদার চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ধৈর্য ধরুন: ব্রণ চিকিৎসা করতে সময় লাগে। ফলাফল দেখতে কয়েক সপ্তাহ বা মাসও লাগতে পারে।

আপনার ত্বকের সাথে মৃদু আচরণ করুন: আপনার ত্বককে ঘষবেন না বা খোসা ছাড়াবেন না।

আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

মনে রাখবেন:

এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার ব্রণের চিকিৎসার জন্য সর্বোত্তম পদ্ধতি নির্ধারণ করতে আপনার সর্বদা একজন চিকিৎসা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।



Post a Comment

Previous Next