জেনে নিন-কোষ্ঠকাঠিন্য কি এবং কেন হয় ?সারানোর ঘরোয়া উপায়

 

কোষ্ঠকাঠিন্য কি এবং কেন হয় ? কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য আপনার শরীরে কি ধরনের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে ? ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবেন ? সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন


                          কোষ্ঠকাঠিন্য কি এবং কেন হয় সারানোর ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্য আমাদের সবার কাছে একটি অতি পরিচিত রোগের নাম। কারণ এই সমস্যায় আমরা কমবেশি অনেকেই ভুগে থাকি এবং যে কোন বয়সের মানুষের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এই রোগ হলে মলদ্বারে খুবই যন্ত্রণা ব্যধা হয়। যা আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। কোষ্ঠবদ্ধতা হলে অনেকে বাথরুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন, কিন্তু তাদের ঠিক মত পেট পরিষ্কার হয় না। তবে হঠাৎ করে একদিনে এই রোগ হয় না।বিশেষজ্ঞ দের মতে, দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জীবনযাপন করার কারণেই প্রতিনিয়ত কোষ্ঠ্যবদ্ধতার সমস্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কোষ্ঠ্যবদ্ধতা কেন হয়, এর ক্ষতি এবং মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অবগত নেই। যার জন্য তারা এই সমস্যার প্রতিহত করতে পারছে না। আর এই সমস্যা দ্রুত নিরাময় করতে না পারলে পরবর্তীতে আপনার পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা খুবই জরুরি।

এখন চলুন আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য সংক্রান্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই,

কোষ্ঠকাঠিন্য কি ?

কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোষ্ঠবদ্ধতা হল এক ধরনের শারীরিক সমস্যা যেখানে কোন ব্যক্তির মলাশয় থেকে শুষ্ক কঠিন মল নিষ্কাশন হবে বা মল ঠিক মত পরিষ্কার হবে না বিশেষজ্ঞ দের মতে,  যদি কোন ব্যক্তির সপ্তাহে তিন দিনের কম মলত্যাগ করে তাহলে ব্যক্তির কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যা আছে এমনটি ধরে নেয়া হয়। কোষ্ঠবদ্ধতা কে আমরা অনেক সময় ইংরেজিতে Constipation বলে থাকি।

কি কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে ?

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কয়েকটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার না খেলে :

কোষ্ঠ্যবদ্ধতা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে একটি হল ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার না খাওয়া। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যদি যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার যেমন: মসুর ডাল, সবুজ শাক-সবজী, মটরশুটি, গাজর, আস্ত শস্য, বাদাম প্রভৃতি ঠিক মত না থাকে তাহলে পায়খানায় পানি শোষণ ধারণ ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে পায়খানা কঠিন হয়ে যাবে। যার ফলে আপনার কনস্টিপেশন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করলে :

সারাক্ষণ যদি আপনি শুয়ে বসে থাকেন এবং দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনার পরিপাকতন্ত্রের খাদ্যবস্তু গুলো ঠিক মত হজম হবে না এবং পেটের নাড়িভুঁড়ি গুলো অচল হয়ে পড়বে। যার জন্য আপনার মলাশয় থেকে মল বের হয়ে আসতে অনেক কষ্ট হতে পারে। এর ফলে আপনার কোষ্ঠ্যবদ্ধতা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

কম পরিমাণে পানি পান করলে :

আপনার শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকে তাহলে আপনার মলাশয় থেকে মল বের হতে কষ্ট হবে। কারণ পানি আপনার খাবারের ফাইবারের সাথে মিশে পায়খানাকে ভারী নরম করে তোলে।এর ফলে পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে পায়খানা চলাচল সহজ হয়।কিন্তু কম পানি পান করলে পায়খানা বের হতে সমস্যা হয় যার ফলে আপনার কোষ্ঠ্যবদ্ধতা হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

উত্তেজক খাবার গ্রহণ করলে :

আপনি যদি উত্তেজক খাবার যেমন : কফি, চা, মদ, ধূপপান প্রভৃতি গ্রহণ করেন তাহলে সব খাবার আপনার শরীর থেকে পানি শোষণ করে শরীরকে কঠিন করে তোলে। আর শরীর কড়া হয়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবে আপনার মল শক্ত হবে। এর ফলে কনস্টিপেশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশনে ভুগলে :

আপনি যদি মানসিক চাপ, কোন কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বা বিষণ্ণতায় ভুগেন তাহলে  স্বাভাবিক ভাবে আপনার শারীরবৃত্তীয় কর্মকান্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন ”নিদ্রাহীনতা আপনার শরীরে যে সব মারাত্নক প্রভাব ফেলতে পারে ”

পায়খানা চেপে রাখলে :

পায়খানার বেগ আসলে যদি আপনি তা চেপে রাখেন তাহলে আপনার শরীর ক্রমশ মলাশয় থেকে পানি শুষে নিতে থাকে। আর মলশয়ের ভেতর পায়খানা জমিয়ে রাখলে সেটা দিন দিন আরও কঠিন হতে থাকে। এর ফলে কনস্টিপেশন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঔষধের সাইড ইফেক্ট :

আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ যেমন :  উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, খিচুনী, আয়রণ, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামের অভাব এবং ব্যথা প্রভৃতির জন্য ঔষধ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরে এই সব ওষুধের সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে।যার কারণে আপনার   কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যে সব লক্ষণ দেখা দিতে পারে ?

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনার শরীরে যে সব লক্ষ্মণ প্রকাশ পেতে পারে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

শক্ত মল বের হওয়া :

কোষ্টকাঠিন্যে আক্রন্ত হলে এর অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল সময় আপনার মলাশয় থেকে শুষ্ক কঠিন শক্ত মল নিষ্কাশন হবে।

অস্বস্তি বোধ হওয়া :

কনস্টিপেশন হলে আপনার পেট ঠিক মত পরিষ্কার হয় না সে জন্য সময় আপনার শরীরে একটা অস্বস্তি বোধ কাজ করতে পারে।

ক্ষুধা লাগে না :

কোষ্ঠবদ্ধতা হলে আপনার মলত্যাগ ঠিক মত ক্লিয়ার হয় না তাই সময় আপনার পেট ভরা ভরা ভাব কাজ করতে পারে। সে জন্য সময় একটা ক্ষুধা না লাগা ভাব কাজ করতে পারে অর্থাৎ সময় আপনার খাদ্যের প্রতি রুচীই থাকবে না।

জিহ্বায় সাদা লেপাবৃত আবরণ :

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনার শরীর কড়া থাকার কারণে এনজাইম গুলো ঠিক মত কাজ করে না। সে জন্য সময় আপনার জিহ্বায় সাদা পুরু বা লেপাবৃত আবরণ পড়তে পারে।

পায়খানা করতে কষ্ট হওয়া :

কনস্টিপেশন হলে মল শক্ত শুষ্ক থাকে সে জন্য সময় মলদ্বার দিয়ে মল বের হতে অনেক কষ্ট হয় জন্য আপনার অধিক সময় ধরে মলত্যাগের পরেও বেগ থাকতে পারে। তাই সময়ে মলদ্বার তলপেটের ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

মলত্যাগ করতে সময় বেশি লাগা :

কোষ্ঠবদ্ধতা হলে আপনার শরীর কড়া থাকার কারণে অনেক বেশী চাপের দরকার পড়ে। আর তাই সময়ে আপনার মলদ্বার দিয়ে শক্ত মল বের হয়। সে জন্য মল ত্যাগে অনেক বেশী সময় লাগতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শরীরে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে ?

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য আপনার শরীরে যে সব মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে তা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

অর্শ রোগ বা পাইলস হওয়া :

কোষ্ঠবদ্ধতা মারাত্নক পর্যায়ে হয়ে গেলে এর থেকে আপনার মলদ্বারের শিরা ফুলে যেতে পারে। যাকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Haemorrhoids বা পাইলস (অর্শ রোগ) বলে থাকি।

আরও জানুন:

Piles বা অর্শ কী ? কী কারণে পাইলস হয় এবং সারানোর উপায় ?

রেকটাল প্রোল্যাপস :

কনস্টিপেশন হলে মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসতে পারে বা মলদ্বার থেকে অন্ত্র বের হয়ে আসতে পারে। যাকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় রেকটাল প্রেল্যাপস বলে থাকি।

অ্যানাল ফিশার :

দীর্ঘ দিন ধরে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে আপনার মলদ্বারের চামড়া ছিঁড়ে যেতে পারে বা মলদ্বারে আলসার হতে পারে। যাকে আমরা ডাক্তারি পরিভাষায় অ্যানাল ফিশার বলে থাকি।

পারফোরেশন হওয়া :

দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যায় ভুগেন তাহলে আপনার পারফোরেশন বা পায়ুপথ ছিদ্র হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

মলত্যাগের সময় ব্যথা করা :

কনস্টিপেশন হলে মলত্যাগের সময় আপনার মলদ্বার দিয়ে মল সহজে বের হতে চায় না। তাই সময়ে আপনার ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

পাকস্থলীতে আলসার হওয়া :

কোষ্ঠবদ্ধতায় অনেক দিন ধরে ভুগার কারণে ধীরে ধীরে আপনার খাদ্যনালীতে আলসার বা ঘা হয়ে যেতে পারে।

প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া :

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হলে আপনার শরীর অনেক কড়া থাকে বা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে না। সে জন্য সময় আপনার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। 

মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া :

দীর্ঘ দিন ধরে কনস্টিপেশন এর সমস্যা থাকলে শরীর অনেকে দূর্বল হয়ে পড়ে,  কোন কিছুই ভাল লাগে না। আর শরীর ভাল না থাকার কারণে আপনি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

 দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যে  দূর করার  ঘরোয়া উপায় ?

ঘরোয়া পদ্ধতিতে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া :

কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করতে হলে আপনাকে বেশি বেশি করে খাদ্য তালিকায় ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার যেমন : সবুজ শাক-সবজী, ফলমূল, ডাল, মটরশুটি, গাজর, বাদাম, শস্য, লাল চাল, লাল আটা প্রভৃতি রাখতে হবে এর থেকে আপনার শরীরে পানি যাবে ফলে  কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দ্রুত দূর হবে। চিকিৎসকরা দৈনন্দিন খাবার তালিকায় প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা :

কনস্টিপেশন এর সমস্যা এড়ানোর জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক থাকলে আপনার পায়খানা নরম হবে। এর ফলে সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই এই সমস্যা দ্রুত নিরাময় করতে হলে আপনাকে দিনে কমপক্ষে লিটার পানি পান করতে হবে।

ব্যায়াম শরীরচর্চা করা :

কোষ্ঠবদ্ধতা প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে নিয়মিত এক্সারসাইজ বা হালকা ব্যায়াম করতে হবে। এটি আপনার খাদ্যবস্তু ঠিক মত পরিপাক করতে এবং শরীরকে সচল রাখতে সহায়তা করবে।এর ফলে পায়খানা নরম হবে এবং আপনার কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।তাই এই পরিস্থতি শীঘ্রই এড়ানোর জন্য প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হালকা ব্যায়াম কিংবা হাঁটাচলা করার চেষ্টা করতে পারেন।

মানসিক চাপ মুক্ত থাকা :

কনস্টিপেশন দূর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে। এতে করে আপনার শরীরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। এর ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।

পড়ুন:মানসিক চাপ কী? কেন হয় ?এবং এটি থেকে  কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন ?

তরল খাবার খাওয়া :

কোষ্ঠবদ্ধতা প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার যেমন : পেঁপে, বেলের শরবত, রাত্রে হালকা গরম দুধ, অ্যালোভরা, ইসুবগুলের ভুষি প্রভৃতি খেতে হবে। এতে করে আপনার শরীরে পানির পরিমাণ বজায় থাকবে এবং আপনি খুব শীঘ্রই এই প্রবলেম থেকে মুক্তি পাবেন।   

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে,

কোষ্ঠকাঠিন্য হল খুবই মারাত্মক জটিল যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যধি। তাই এই রোগের লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু এতে উল্টো আরও আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি যদি দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরিউক্ত নির্দেশনা গুলো ঠিক মত অনুসরণ করতে হবে এবং অবশ্যই সময় থাকতে থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

 

 

Post a Comment

Previous Next