পাকস্থলীর ক্যান্সার হলে কোন ধরনের উপসর্গগুলো দেখা যায় এবং করণীয় কি ?

পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach Cancer) কী ? পাকস্থলীর ক্যান্সার কী কারণে হয়ে থাকে ? পাকস্থলীর ক্যান্সার বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার হলে কোন ধরনের লক্ষ্মণ বা উপসর্গগুলো দেখা যায় ? কী উপায় অবলম্বন করার ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সারপ্রতিরোধ করা যায় ? সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পাকস্থলীর ক্যান্সার বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার হলে কোন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেখা যায় ?

ছবি :সংগৃহিত

বর্তমান বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষ এখন পাকস্থলীর ক্যান্সার(Stomach Cancer) বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার শিকার হচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে মৃত্যুর হারও ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে। পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach Cancer) বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা প্রাথমিক অবস্থায় পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার পরেও সম্পর্কে ঠিক মত বুঝতে পারেন না।

এজন্য তারা চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না এবং চিকিৎসা করাতে চান না। এর ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সারে সৃষ্ট জীবাণু খাদ্যনালীর বাইরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় পাকস্থলীর ক্যান্সারে মৃত্যু ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বেশি। তাই পাকস্থলীর ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

এখানে, যা যা থাকছে.....
  • পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach Cancer) কী ?
  • কাদের Stomach Cancer (পাকস্থলীর ক্যান্সার) ঝুকি থাকে ?
  • পাকস্থলীর ক্যান্সার কী কারণে হয়ে থাকে ?
  • Stomach Cancer হলে কোন ধরনের লক্ষণ  দেখা যায় ?
  • Stomach Cancer হলে প্রতিকারের উপায় কি ?

পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach Cancer) কী?

পাকস্থলীর ক্যন্সারের ইংরেজি নাম হল Stomach Cancer পাকস্থলীর ক্যান্সারকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অনেক সময় Gastric Cancer বলা হয়ে থাকে। যেটা পাকস্থলী বা খাদ্যনালীর ভিতরে সংঘটিত হয়ে থাকে। যখন পাকস্থলীর বা খাদ্যনালীর ভিতরের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন খাদ্যনালীর এই অবস্থাকে পাকস্থলীর ক্যান্সার বা Stomach Cancer বলা হয়ে থাকে।

কাদের Stomach Cancer (পাকস্থলীর ক্যান্সার) হয়ে থাকে ?

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সার নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা দিতে পারে। নারীদের তুলনায় পুরুষের পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। সাধারণত মধ্যবয়স্ক যাদের বয়স ৪০-৬০ বছর তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

পাকস্থলীর ক্যান্সার কয় ধরনের হয়ে থাকে?

সাধারণত পাকস্থলীর অধিকাংশ ক্যান্সার হল গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার। ছাড়াও চার ধরনের ক্যান্সার হতে দেখা যায়। সে গুলো হল

* Adenocarcinoma (এডেনোকারসিনোমা)
* Lymphoma (লিম্ফোমা)
* Carcinoid Cancer (কারসিনয়েড ক্যান্সার)
* Gastrointestinal Stromal Cancer (গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল স্ট্রোমাল ক্যান্সার)

পাকস্থলীর ক্যান্সার কী কারণে হয়ে থাকে?

Stomach Cancer (পাকস্থলীর ক্যান্সার) আক্রান্ত হওয়ার পেছনে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :

জিনগত ত্রুটি :

পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হল পাকস্থলীর কোষের ভিতরে জিনগত ত্রুটি বা জিনগত পরিবর্তন। এর ফলে পাকস্থলীর ভিতরে কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়ে থাকে।

খাদ্যনালীতে আলসার :

খাদ্যনালীতে যদি আগে থেকে আলসারের বা ক্ষতের সমস্যা থাকে তাহলে পরবর্তীতে এই ঘা বা ক্ষত থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে :

পাকস্থলী বা খাদ্যনালীর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

পেট ফুলে গেলে :

সব সময় পেট ফুলা বা ফাঁপা থাকার কারণে পাকস্থলীর ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।

ধূমপান এবং মদ্যপান করলে :

নিয়মিত ধূমপান এবং মদ্যপান করার ফলে এর ভিতরে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পাকস্থলীর ভিতরে ঢুকে পাকস্থলীকে বিষাক্ত করে তোলে। যার ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে :

লবণযুক্ত খাবার বেশি খেলে পাকস্থলীর মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বংশগত কারণে :

পরিবারের কোন সদস্য
যদি পূর্ব থেকেই পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকে তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যান্সার বা Stomach Cancer আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ব্যায়াম বা শরীরচর্চা অভাব থাকলে :

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করলে পাকস্থলী বা খাদ্যনালীতে থাকা খাবার গুলো ঠিকমত পরিপাক হয় না। এসব খাদ্যবস্তু পাকস্থলীতে পঁচে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি করে। যার ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

শরীরের ওজন হ্রাস পেলে :

শরীরের ওজন যদি অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। এর ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি থাকলে :

শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর চাহিদা থাকলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

Stomach Cancer হলে কোন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেখা যায় ?
ছবি :সংগৃহিত

Stomach Cancer হলে কোন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেখা যায়?

সাধারণত Stomach Cancer বা খাদ্যনালীর ক্যন্সারে আক্রান্ত হলে আমরা অনেকেই এর লক্ষ্মণগুলো ঠিক মত বুঝতে পারি না। এর ফলে পরবর্তীতে এই ক্যান্সার ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। নিচে পাকস্থলীর ক্যন্সারের লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :

খাবার গিলতে অসুবিধা :

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যন্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণগুলোর মধ্যে একটি হল খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া। যে সব খাবার সহজেই গিলে ফেলা যায় মুখের ক্যন্সার হলে সেসব খাবার সহজে গিলা যায় না বা অনেক কষ্টে খাবার গিলতে হয়।

পেট ফুলে যাওয়া :

সাধারণত পাকস্থলীর ক্যন্সার হলে পেট ফুলে যায়। অবস্থা যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্প পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের পরে পেট ভরা থাকা :

খাদ্যনালীর ক্যান্সার বা পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ফলে পরিমাণে কম খাবার খাওয়ার পরে পেট ভরা মনে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ক্যান্সারে সব সময় পেট ভরা অনুভূত হয়।

বদহজম দেখা দেয়া :

খাবার গ্রহণ করার দীর্ঘ সময় পরেও খাবার ঠিক মত পরিপাক না হলে বা বদহজমের মত সমস্যা দেখা দেয়া পাকস্থলীর ক্যান্সারের একটি অন্যতম লক্ষ্মণ।

পেটে ব্যাথা করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সার বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে পেটের ভিতরে অসম্ভব যন্ত্রণা বা ব্যাথা করতে থাকে। ধীরে ধীরে ব্যাথার প্রবণতা প্রবল আকার ধারণ করে।

বমি হওয়া :

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ফলে রোগী সারাক্ষণ বমি বমি ভাব অনুভব করে এবং সময় ঘন ঘন বমি হওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

ক্ষুধা লাগে না :

পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে পেট সব সময় ভরা থাকে এর ফলে ক্ষুধা লাগার অনুভূতি অনেক কমে যায়। অর্থাৎ সময় ক্ষুধামন্দা দেখা দিয়ে থাকে।

অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে ক্ষুধা লাগে না। এর ফলে খাদ্যনালীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়ে থাকে।

হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া :

Stomach Cancer বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ফলে রোগীর ওজন অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে থাকে।

মলের সাথে রক্ত পড়া :

পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির মলের সাথে রক্ত পড়তে পারে। ক্যান্সারের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয় তখন সাধারণত ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যন্সার নির্ণয়ে কোন ধরনের পরীক্ষা করা হয়?

ক্যান্সারের অবস্থান এবং লক্ষ্মণগুলোর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকরা নিচের পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সার সনাক্ত করে থাকেন।

পাকস্থলীর ক্যন্সার নির্ণয়ে কোন ধরনের পরীক্ষা করা হয় ?
ছবি :সংগৃহিত

  1. CT Scan (সিটি স্ক্যান)
  2. Blood Test (রক্ত পরীক্ষা)
  3. PTI (পিইটি স্ক্যান)
  4. Endoscopy (এন্ডোস্কোপি)
  5. Laparoscopy (ল্যাপারোস্কোপি)
  6. EX-ray (এক্স-রে)
  7. Genetic Testing (জেনেটিক টেস্টিং)
  8. Biopsy (বায়োপসি)
  9. Barium Grass (ব্যারিয়াম গ্রাস)
 

Stomach Cancer বা খাদ্যনালীর ক্যন্সার হলে করণীয় কি?

সাধারণত Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যন্সারে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

Surgery (অস্ত্রোপচার) :

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যন্সার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অর্থাৎ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বেশি না হলে এই ক্যান্সারযুক্ত কোষ বা টিউমার সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে খাদ্যনালীর ভিতর থেকে অপসারণ করা হয়।

Radio Therapy (বিকিরণ থেরাপি) :

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সারে কোষের বৃদ্ধি যদি বেশি মাত্রায় হয় তখন সার্জারির আগে রেডিও থেরাপি বা বিকিরণ থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে ফেলা হয়। অর্থাৎ ক্যান্সার কোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া হয়। সার্জারি পরেও অনেক সময় প্রয়োজন অনুসারে রেডিও থেরাপি বা বিকিরণ থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে।

Chemotherapy (কেমোথেরাপি) :

সাধারণত প্রথমে সার্জারি করে ক্যান্সার কোষ বা টিউমার খাদ্যনালী থেকে অপসারণ করা হয়। এর পরে কেমোথেরাপি দেয়া হয়। কেমোথেরাপি দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হল ক্যান্সার কোষগুলো যাতে পুনরায় সৃষ্টি হতে না পারে। অর্থাৎ কেমোথেরাপি দেয়ার ফলে ক্যান্সার কোষগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

Targeted Therapy (টারগেটেড থেরাপি) :

টারগেটেড থেরাপির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খাদ্যনালীর ভিতরে প্রয়োগ করানোর ফলে ক্যান্সার কোষগুলোকে নষ্ট হয়ে যায়।

Immunotherapy (ইমিউনোথেরাপি) :

ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউনোথেরাপি দেয়া হয়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

ঔষধ ছাড়া কী উপায় অবলম্বন করলে পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়?

নিচের নিয়মগুলো যদি ঠিকমত অনুসরণ করা হয় তাহলে Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হতে পারে।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করতে হবে। রোগ-ব্যাথি সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়ার সাথে সাথে হেলা-ফেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সার
হওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করতে হবে। এর ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো খাদ্যনালীর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং খাদ্যনালীর ভিতরে কোষের বৃদ্ধিও স্বাভাবিক থাকবে।

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া :

আঁশযুক্ত খাবার যে কোন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল বেশি করে খেতে হবে।

সুষম খাবার গ্রহণ করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এজন্য ভিটামিন-, ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

তৈলাক্ত খাবার বর্জন করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সার বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ হলে অবশ্যই অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।

মসলাযুক্ত খাবার বর্জন করা :

মসলাযুক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে মসলাদার খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

লবণাক্ত খাবার বর্জন করা :

পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে,

Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সার হল মারাত্মক একটি ব্যাধি। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় যদি পাকস্থলীর ক্যান্সারের চিকিৎসা করানো হয় তাহলে রোগী এই ক্যান্সার থেকে দ্রুত সেরে উঠে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু যদি সময় মতো চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে এই ক্যান্সারের জীবাণু পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

এর ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই Stomach Cancer বা পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে উপরিউক্ত বিষয় গুলো ঠিক মত অনুসরণ করে চলতে হবে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের দেয়া পরামর্শগুলো ঠিক মত পালন করতে হবে।

Post a Comment

Previous Next