হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে বুঝার উপায় ও করণীয়

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B) কি এবং কেন হয় সম্পর্কে কি আপনি অজ্ঞাত আছেন ? আপনি হেপাটাইটিস বি পজিটিভ নাকি তা কিভাবে বুঝবেন ? এই মরণঘাতি থেকে কিভাবে নিস্তার পাবেন ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন -

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে বুঝার উপায় ও করণীয়


হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্বব্যাপি ভয়ঙ্কর উদ্বেোগ ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)মূলত একটি ভাইরাস জনিত সংক্রমণ রোগ। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে যার কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে বা তার কোন জিনিস ব্যবহার করার মাধ্যমে এই ভাইরাসের জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)হওয়ার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার সম্পর্কে ঠিকমত জানেন না এজন্য চিকিৎসা করান না এতে করে আপনার শরীরে এই ভাইরাসের প্রভাব মারাত্মক ভাবে বেড়ে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে এটি মারণ ব্যাধিতে রূপ নিতে পারে। জন্য হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) আসলে কি ?

হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) হল একটি ভাইরাস জনিত মারাত্নক সংক্রমক রোগ। একে সংক্ষেপে আমরা HBV বলে থাকি। আমাদের লিভার বা যকৃতে যদি প্রদাহ হয় তখন তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। আর বি ভাইরাস যখন আমাদের লিভার বা যকৃতকে আক্রমণ করে তখন অবস্থাকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) বা হেপাটাইটিস বি বলে থাকি।

 হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) কাদের হতে পারে ?

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকে না অর্থাৎ যে কোন বয়সেই এই ভাইরাস আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। তবে নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে এবং তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠতে প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় সময় বেশি লাগে।

আরও পড়ুন....

হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) কয় ধরনের হয়ে থাকে ?

সাধারণত একজন মানুষের শরীরে দুই ধরনের হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) দেখা দিতে পারে। সে গুলো হল

*  Acute Hepatitis (তীব্র সংক্রমণ)

*  Chronic Hepatitis (দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ)

Acute Hepatitis :

আপনি যদি প্রথম বার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তখন তাকে বলা হয় অ্যাকিউট হেপাটাইটিস বা তীব্র সংক্রমণ। সে ক্ষেত্রে তৎক্ষনাৎ চিকিৎসা করালে কোন সমস্যা ছাড়াই আপনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

Chronic Hepatitis :

এই ভাইরাস যদি মাসের বেশি সময় ধরে আপনার রক্তে অবস্থান করে তখন একে বলা হয় ক্রোনিক হেপাটাইটিস বা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।

কি কারণে আপনার হেপাটাইটিস বি হতে পারে ?

আপনার হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) হওয়ার পেছনে কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস থেকে :

আপনি যদি সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন : ব্লেড বা সুচ, টুথব্রাশ, টাওয়াল প্রভৃতি ব্যবহার করার কারণে আপনার দেহে এই হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) সংক্রমিত হতে পারে।

সংক্রমিত মায়ের কাছ থেকে :

বাচ্চা প্রসবের সময় গর্ভবতী মা যদি এই ভাইরাসে সংক্রমিত থাকে তাহলে তার গর্ভে থাকা সন্তানের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

মাদক গ্রহণ কারীর কাছ থেকে :

মাদক গ্রহণ করে এমন কোন ব্যক্তির ব্যবহার করা সূচ বা সিরিঞ্জ এমনকি তাদের থুতু, প্রস্রাব, বীর্য প্রভৃতি এগুলোর মাধ্যমে   আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।

অনিরাপদ যৌনতা থেকে :

অনিরাপদ যৌনতা, একাধিক ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে আপনার শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে :

আপনি যদি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রতঙ্গ দান করলে :

সার্জারী বা অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রতঙ্গ দান করার ফলে আপনার শরীরে বি ভাইরাসের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।

 হেপাটাইটিস বি হলে শরীরে কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে ?

সাধারণত হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) হলে আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষণ গুলো দেখা দিয়ে থাকে। লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। লক্ষণ গুলো হল

অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা :

আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)আক্রমণ করলে শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং সময় আপনার অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।

মাথা ব্যাথা করা :

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে সংক্রমিত হলে আপনার মানসিক চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে সময় আপনার অতিরিক্ত মাত্রায় মাথা ব্যথা করতে পারে।

ত্বক চোখ হলুদ হয়ে দেয়া :

সাধারণত হেপাটাইটিস বি হলে আপনার ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যেতে পারে।

লাল বর্ণের প্রসাব :

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার প্রসাবের রঙে ভিন্নতা দেখা দিতে পারে। সময় আপনার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক গাঢ় প্রসাব হতে পারে এবং প্রসাবের বর্ণ লাল দেখাতে পারে।

চুলকানি বা র‌্যাশ দেখা দেয়া :

আপনি HBV বা হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার স্কিনে বা চামড়ার বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি বা ্যাশ দেখা দিতে পারে।

পেশিতে ব্যাথা করা :

HBV সংক্রমিত হলে আপনার পেশি দূর্বল হয়ে পড়তে পারে। সেই সাথে পেশিতে যন্ত্রণা বা ব্যথা করতে পারে।

পেটে ব্যাথা করা :

আপনারহেপাটাইটিস বিবা HBV হলে পেটের চারপাশ ঘিরে অসম্ভব যন্ত্রণা বা ব্যাথা করতে পারে এবং আস্তে আস্তে এই ব্যাথার প্রবণতা বাড়তে পারে।   

বমি বমি ভাব :

আপনার শরীরের ভিতরে যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস বা HBV এর প্রভাব মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায় তাহলে আপনার বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।

অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর হওয়া :

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়ার সাথে অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর দেখা দিতে পারে।

আপনার হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে কী উপায়ে প্রতিকার করবেন ?

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজিটিভ (HBV) হলে সর্বপ্রথমেই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর চিকিৎসক আপনার শরীরে এই ভাইরাসের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজন বোধে নিচের পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকেন। পদ্ধতি গুলো হল

মুখে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে :

আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)এর প্রভাব যদি অল্প থাকে তাহলে সাধারণত চিকিৎসক আপনাকে মুখে খাওয়ার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাধারণত পরীক্ষা-নীরিক্ষার উপর ভিত্তি করে ডাক্তার আপনাকে ছয় মাস থেকে এক বছরের ওষুধ দিতে পারেন। এরপর ভাইরাস নিরাময় হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসক আপনাকে পুনরায় পরীক্ষা করতে বলতে পারেন।

ইনজেকশনের মাধ্যমে :

আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি এর প্রভাব বেশি হলে চিকিৎসক এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।

কিভাবে হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভ্যাকসিন নিবেন ?


হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে অব্যশই হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন নিতে হবে। ৭০ বছরের আগ পর্যন্ত আপনার জীবদ্দশার যে কোন সময়ে আপনি এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেন। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করে দেহে HBV আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে ভাইরাস থাকলে আপনি এই টিকা নিতে পারবেন না।

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হবে। এই ভ্যাকসিনের চারটি ডোজ রয়েছে। ঠিকমত এই ডোজগুলো নেয়ার মাধ্যমে আপনার ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।

* প্রথম ডোজ দেয়ার এক মাস পর আপনাকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

* প্রথম ডোজ দেয়ার দিন থেকে শুরু করে ঠিক ছয় মাস পরে আপনাকে তৃতীয় ডোজ নিতে হবে।

*  তৃতীয় ডোজ দেয়ার পর আপনাকে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করতে হবে এবং এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে কিনা সেটা দেখতে হবে। যদি ঠিকমত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠে তাহলে আপনাকে পাঁচ বছর পরে চতুর্থ ডোজ দিতে হবে। যাকে আমরা বুস্টার ডোজ বলে থাকি। এই ডোজ দেয়ার মাধ্যমে আপনার ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কীভাবে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস প্রতিরোধ করবেন?

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং সেগুলো ঠিক মত পালন করতে হবে। বিষয়গুলো হল

পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকা :

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভাইরাসের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে আপনাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকতে হবে। বাইরে বেরোলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাথে রাখতে হবে এবং বাড়িতে ফিরে গোসল করতে হবে। এতে করে বাইরের জীবাণু আপনার শরীরে সহজে প্রবেশ করতে পারবে না।

অন্যের ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার বন্ধ করা :

আপনি যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে অন্য ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন : ব্লেড বা সুচ, টুথব্রাশ, টাওয়াল প্রভৃতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ সবের মাধ্যমেই ভাইরাস আপনার শরীরে প্রবেশ করে থাকে। 

মাদক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ না করা :

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে মাদক জাতীয় দ্রব্য বা ড্রাগ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এর ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।

অবৈধ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা :

আপনি যদি হেপাটাইটিস বি এর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনিরাপদ যৌনতা বা অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। 

রক্তদানের ক্ষেত্রে সর্তক থাকা :

হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে সর্তকত থাকতে হবে যাতে অন্যের ব্যবহৃত সূচ বা সিরিঞ্জ আপনার শরীরে প্রবেশ না করানো হয়। এতে করে আপনার শরীরে অন্যের দ্বারা জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকবে।

হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নেয়া :

HBV বা হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 জেনে নিন,

পরিশেষে বালা যায় যে, 

হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)একটি জটিল ব্যাধি হওয়ার কারণে এর প্রকোপ যদি আপনার শরীরে বেড়ে যায় তাহলে এটি আপনার সুস্থভাবে জীবনযাপনের পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই ভাইরাসের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় এই ভাইরাসের চিকিৎসা করালে আপনি দ্রুতই এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই আপনি যদি এই নীরব ঘাতকের হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে হেপাটাইটিস বি(Hepatitis B)ভাইরাসের টিকা নিতে হবে সেই সাথে উপরিউক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

Post a Comment

Previous Next