স্বাভাবিক প্রসবের পর সাইড কাটার জায়গায় যদি সংক্রমণ (ইনফেকশন) হয়, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সংক্রমণের লক্ষণগুলো জানা থাকলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
![]() |
সাইড কাটা ইনফেকশন |
সাইট কাটা ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি
সাইড কাটার জায়গায় সংক্রমণ হলে সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়:
তীব্র ব্যথা: যদি ব্যথা দিন দিন বাড়ে, ব্যথানাশক ওষুধেও না কমে, অথবা ব্যথা সেলাইয়ের জায়গা থেকে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
লালচে ভাব ও ফোলা: সেলাইয়ের স্থানটি যদি খুব বেশি লাল হয়ে যায়, ফুলে ওঠে বা গরম মনে হয়।পুঁজ বা দুর্গন্ধযুক্ত নিঃসরণ: কাটা থেকে যদি দুর্গন্ধযুক্ত পূঁজ, বা ঘোলাটে তরল বের হয়।
জ্বর: যদি ১০০.৪° ফারেনহাইট (৩৮° সেলসিয়াস) বা তার বেশি জ্বর আসে।
সেলাই খুলে যাওয়া: কাটা স্থান যদি আংশিক বা পুরোপুরি খুলে যায়।
সাইট কাটা ইনফেকশন হলে করণীয়
যদি আপনার উপরোক্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ঘরে বসে সংক্রমণ সারানোর চেষ্টা করবেন না।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে আপনি কিছু প্রাথমিক যত্ন নিতে পারেন:
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: সেলাইয়ের জায়গাটি পরিষ্কার রাখুন। দিনে কয়েকবার হালকা গরম পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে নিন। কোনো কঠোর সাবান বা কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না। ধোয়ার পর একটি নরম, পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে চাপ না দিয়ে হালকাভাবে শুকিয়ে নিন।
হালকা পোশাক: ঢিলেঢালা এবং সুতির অন্তর্বাস পরুন, যা বাতাস চলাচলে সাহায্য করবে এবং সেলাইয়ের জায়গায় ঘষা লাগবে না।
ঠান্ডা সেঁক: ফোলা এবং অস্বস্তি কমাতে একটি পরিষ্কার কাপড়ে মোড়ানো বরফ বা কোল্ড প্যাক আলতো করে লাগাতে পারেন।
ডাক্তার কী করতে পারেন?
ডাক্তার আপনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন:
অ্যান্টিবায়োটিক: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ডাক্তার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট বা মলম লিখে দিতে পারেন।
আর্দ্র কম্প্রেস: কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার হালকা গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় ব্যবহার করে দিনে কয়েকবার সেঁক দিতে বলতে পারেন, যা পুঁজ বের হতে সাহায্য করে।
ড্রেনেজ: যদি সেলাইয়ের নিচে পুঁজ জমা হয়, তাহলে ডাক্তার একটি ছোট ইনসিশন দিয়ে পুঁজ বের করে দিতে পারেন।